পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৫ বছর আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:৩১, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

চুক্তিতে সরকার পক্ষে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং জনসংহতি সমিতির পক্ষে স্বাক্ষর করেন জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লার্মা ওরফে সন্তু লার্মা। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন…

আজ, ২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৫ বছর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদকালে ১৯৯৭ সালের এদিন সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে ৩ পার্বত্য জেলায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান ঘটে।

চুক্তিতে সরকার পক্ষে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং জনসংহতি সমিতির পক্ষে স্বাক্ষর করেন জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লার্মা ওরফে সন্তু লার্মা।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সর্বত্র শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। আমি আশা করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো, ইনশাল্লাহ।

তিনি বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী অগণতান্ত্রিক সরকারগুলো পার্বত্য অঞ্চলের সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পরিবর্তে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বাঙালি-পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরিকল্পিতভাবে বিভেদ সৃষ্টি করে। খুন, অত্যাচার-অবিচার, ভূমি জবরদখল এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এ অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করে তোলে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারও ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ঐতিহাসিক এই শান্তিচুক্তির চরম বিরোধিতা করে পার্বত্য অঞ্চলকে পুনরায় অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। তাদের এ হীন উদ্দেশ্য সফল হয়নি।

এর আগে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এক বিবৃতিতে বলেছে, সব বাধা অপসারণ করে দ্রুত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে। সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি প্রশাসনের একটি শক্তিশালী মহল পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে প্রধান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ ধরনের জনবিরোধী ও চুক্তিবিরোধী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

বিবৃত্তি বলা হয়, ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৫ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতির মধ্যে এই ঐতিহাসিক চুক্তি সই হয়েছিল। কিন্তু চুক্তির ২৫ বছরের মাথায় এসেও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে আশানুরূপ কোনও অগ্রগতি হয়নি। চুক্তির কয়েকটি ধারা বাস্তবায়ন করা হয়েছে মাত্র। চুক্তি বাস্তবায়নে তারা ৮টি দাবি পেশ করেন সরকারের কাছে।

দিনবদলবিডি/আরএজে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়