ডিবিতে আনা হয়েছে ফখরুল-আব্বাসকে

নিজস্ব প্রতিবেদক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:০৯, শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো অথবা মামলা হবে কি না জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে…

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান।

ডিবিপ্রধান বলেন, বুধবার রাতে বিএনপি কার্যালয়ের ভেতর থেকে ককটেল ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আগামীকাল বিএনপির সমাবেশ। এই সমাবেশকে সামনে রেখে কোনো নাশকতার পরিকল্পনা রয়েছে কি না জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো অথবা মামলা হবে কি না জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমরা বিস্তারিত জানাবো।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, রাত ৩টার পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে তার উত্তরার বাসা থেকে এবং ৩টা ২০ মিনিটে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তার শাহজাহানপুরের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে যায়।

এরও আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে বিএনপির প্রতিনিধি দল ডিএমপি সদর দপ্তরে যায়। সেখানে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন তারা।

বৈঠকে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ করার জন্য রাজধানীর কমলাপুর স্টেডিয়াম মাঠের জন্য অনুমতি চায় বিএনপি। তবে ডিএমপির পক্ষ থেকে বিএনপিকে মিরপুরে সরকারি বাঙলা কলেজ মাঠে গণসমাবেশ করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়।

রাত সাড়ে ৯টায় ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু।

এরপর রাতেই গণসমাবেশের সম্ভাব্য স্থান মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ মাঠ পরিদর্শন করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারপরই এলো ফখরুল ও আব্বাসকে আটকের খবর।

তারও আগে বুধবার বিকেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের। সেখানে নিহত হন মকবুল নামে বিএনপির এক কর্মী। আহত হন অন্তত ২০ জন। এ ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয় প্রায় ৪০০ নেতাকর্মীকে। তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।

দিনবদলবিডি/আরএজে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়