আইএমএফের বোর্ডে উঠছে বাংলাদেশের ঋণ প্রস্তাব

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:৪৮, সোমবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩, ২ মাঘ ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া ৪.৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণের প্রস্তাব আগামী ৩০ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী বোর্ডে উপস্থাপন হচ্ছে। সেখানেই এ ঋণ প্রস্তাবের অনুমোদন হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ। সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান তিনি।

 

বিবৃতিতে আইএমএফের ডিএমডি বলেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য আমি  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারকে অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশের এ প্রবৃদ্ধি দারিদ্র্য হ্রাস ও জীবনমান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।

অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ বলেন, বিশ্বের অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশও এখন বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করছে। আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই সংকটগুলোর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি এই সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের নানা উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এবং আইএমএফ সম্প্রতি এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট সুবিধা, বর্ধিত তহবিল সুবিধা এবং আইএমএফের নতুন স্থিতিস্থাপকতা এবং টেকসই সুবিধার (আরএসএফ) অধীনে একটি স্টাফ-লেভেল চুক্তিতে পৌঁছেছে।

আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেছি, যা সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে। আইএমএফের লক্ষ্য বাংলাদেশের জলবায়ু বিনিয়োগের চাহিদাকে সমর্থন করার জন্য সাশ্রয়ী ও দীর্ঘমেয়াদি সাহায্য করা।

বাজেট সহায়তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থায়নে আইএমএফের ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করতে শনিবার ঢাকায় আসে আইএমএফের ডিএমডি অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। এই দলে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের আইএমএফ মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দ ছাড়া আরো চার কর্মকর্তা রয়েছেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের পর্ষদে বাংলাদেশের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উঠবে। অনুমোদন হলে সংস্থাটি ৪২ মাসে সাত কিস্তিতে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ দেবে বাংলাদেশকে। ঋণের প্রথম কিস্তির ৩৬ কোটি ডলার বাংলাদেশ পাবে আগামী মার্চে। পরের প্রতিটি কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি দেখবে আইএমএফ।

আইএমএফের পরামর্শে সরকার এরই মধ্যে জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। যদিও সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আইএমএফের শর্তের কারণে নয়, দর বাড়ানো হয়েছে বাড়তি ভর্তুকি দেওয়ার সক্ষমতা কমে আসার কারণে। জ্বালানির দর আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয়, রাজস্ব খাতে সংস্কার, ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠাসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংস্কারের পরামর্শ রয়েছে আইএমএফের।

দিনবদলবিডি/Rabiul

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়