ভারতের বাজার আস্ট্রেলিয়ার দখলে:গমে ভারত নির্ভরতা কমলো বাংলাদেশের!

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:২০, সোমবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩, ১৬ মাঘ ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

করোনা মহামারি চলাকালীন টাকা দিয়েও টিকা পায়নি বাংলাদেশ। বাংলাদেশে টিকা রপ্তানি শুরু করার কয়েকদিনেরফ মধ্যেই বন্ধ করে দেয়া হয়। বলা হয় পর্যাপ্ত উৎপাদন হলেই টিকা পাবে বাংলাদেশ। কিন্তু টিকার জন্য আর ভারতের কাছে ধর্ণা দেয়নি বাংলাদেশ।
বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ টিকা আমদানি করে সরকার।শুধু টিকা নয়,এমন ঘটনা ঘটেছে আরও অনেক ক্ষেত্রেই।তাই ভারত নির্ভরতা কমাতে উদ্যোগী হয়েছে বাংলাদেশ।

ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে হঠাৎ করে বাংলাদেশে গম রপ্তানিও বন্ধ করে দেয় ভারত। এতে চরম বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। ভারত এমন সময়ে গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যখন বাংলাদেশের ৬৩ শতাংশ গমই আমদানি হতো ভারত থেকে।

ভারত ছাড়াও চীন, কানাডা, বুলগেরিয়া ও আমেরিকা থেকেও গম কিনতে পারে বাংলাদেশ। কিন্তু সেটি ভারতের মতো সহজে পরিবহনযোগ্য নয়। তাই তুলনামূলক কম সময়ে কম খরচে ভারত থেকে গম পেয়ে থাকে বাংলাদেশ।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে নিজেদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে মাঝে মধ্যেই গম রপ্তানীতে নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকে ভারত। এতে প্রায়ই বিপদে পড়তে হচ্ছিলো বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে, ভারত অনিয়মিতভাবে বাংলাদেশে রপ্তানী করে, যা বাংলাদেশের জন্য বিব্রতকর।

তবে আশা করা হচ্ছে ২০২৩ সালেই এই সংকট থেকে বের হয়ে আসবে বাংলাদেশ। গত ২৫ জানুয়ারি এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে 'প্রথম কলকাতা' নামের ভারতের একটি গণমাধ্যম। প্রতিবেদনে বলা হয়, এবার যদি ভারত বাংলাদেশে গম রপ্তানি বন্ধ করে, তাতে খুব একটা ক্ষতি হবে না বাংলাদেশের।কারণ ভারতের অতীত আচরণ মাথায় রেখে এবার বিকল্প ব্যবস্থা করে রেখেছে বাংলাদেশ সরকার।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এক সময় বিশ্বের গমের বাজার অনেকটাই ধরে রেখেছিল ভারত। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যেই গমের সংকট শুরু হয়, সেটি লুফে নেয় অস্ট্রেলিয়া। চলতি মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ১ কোটি ৩০ লাখ হেক্টর জমিতে গমের চাষ শুরু করে। আর ফলনও হয়েছে বাম্পার। এতে বিশ্ব বাজারের অনেকটাই পূরন করতে সক্ষম হবে অস্ট্রেলিয়া। এর পাশপাশি বাংলাদেশের বাজারও দখল করে নিচ্ছে দেশটি।  ফলে ভারত এবার গমে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা ভাবলেও তা নিয়ে ভাবছে না বাংলাদেশ।  

ভারতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণেই একটি বন্ধু রাষ্ট্রের বাজার ধরে রাখতে পারেনি ভারত, যা বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করলো ভারতকেই।

দিনবদলবিডি/Rakib

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়