বঙ্গোপসাগরের জোয়ার-ভাটাকে কাজে লাগিয়ে আসবে বিদ্যুৎ !

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:০০, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১৯ মাঘ ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

একটি দেশের উন্নয়নের সঙ্গে প্রযুক্তির সম্পর্ক নিবিড়। আবার প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে জ্বালানি সম্পদের ব্যবহার বাড়তে থাকে। এ কারণে প্রচলিত জ্বালানি উৎসের পাশাপাশি বিকল্প বা নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিষয়টিও পরিকল্পনার আওতায় আনা জরুরি। এরইমধ্যে সাগরের পানি থেকে হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত ১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগরের জোয়ার-ভাটাকে কাজে লাগিয়ে এ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। এ বিষয়ে যেসব কোম্পানি প্রস্তাব দিয়েছে তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শীঘ্রই মাতারবাড়ি, মহেশখালী বা বাঁশখালীতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

আমাদের দেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানির মূল উৎস হিসেবে সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, বায়োমাসের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হতে যাচ্ছে সমুদ্রের ঢেউকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন।

জানা যায়, জোয়ার ও ভাটার বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্যকে ভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। এ গতিশক্তির সাহায্যে টারবাইনকে ঘোরানো হলে তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে পানি যখন নেমে যায় বা ভাটার সৃষ্টি হয় তখনও এতে যে গতিশক্তি থাকে তাকে কাজে লাগিয়েও বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে টারবাইনগুলো নদী বা সমুদ্রের তলদেশে বসাতে হবে, যাতে করে টারবাইনগুলো দুই দিকেই ঘুরতে পারে। এ ধরনের পদ্ধতিকে টাইডালস্ট্রিম জেনারেটর বলা হয়ে থাকে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলেন, হাইড্রোজেন জ্বালানি উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রথাগত জ্বালানির মতো অনেক বড় অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজন হয় না এবং বিনিয়োগও তুলনামূলকভাবে কম। এছাড়াও, বাংলাদেশে হাইড্রোজেন উৎপাদন বেশ সম্ভাবনাময় কারণ এখানে পানি ও বায়োমাসের প্রাচুর্য আছে।

অন্যদিকে, হাইড্রোজেন জ্বালানি সার্বিকভাবে বিদ্যুতের নিরাপত্তা, বাড়তি বিদ্যুৎ সংরক্ষণ এবং জাতীয় অর্থনীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। জীবাশ্ম জ্বালানি ও নবায়নযোগ্য অন্যান্য উৎস থেকে পাওয়া বিদ্যুৎকে হাইড্রোজেন আকারে সংরক্ষণ করা যায়। সংরক্ষিত হাইড্রোজেনকে পরবর্তীতে আবারও প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুতে রূপান্তর করা যায়। এতে একটি বড় আকারের নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের উৎস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা।

দিনবদলবিডি/Rakib

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়