‘উপ-নির্বাচনে ভোটের সংখ্যা নিয়েও ভিত্তিহীন ও বানোয়াট গল্প ফাঁদছে বিএনপি’

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:২৬, শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ২০ মাঘ ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি তাদের একটি হিসাবে বলেছে উপ-নির্বাচনগুলোয় ভোটার উপস্থিতি ৫ শতাংশের বেশি হয়নি। যা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। প্রচণ্ড শীত ও প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে ভোটাররা ভোট দিতে এসেছিলেন। সবগুলো উপ-নির্বাচনে ২৫ শতাংশের বেশি ভোটার ভোট প্রদান করেছেন।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি। বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে দেওয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনগুলোয় ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছেন। তিনি বিএনপির এক হিসাব তুলে ধরে বলেছেন উপ-নির্বাচনগুলোয় ভোটার উপস্থিতি ৫ শতাংশের বেশি হয়নি। যা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ্যে এ ধরনের নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন। প্রচণ্ড শীত ও প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে ভোটাররা ভোট দিতে এসেছিলেন। সবগুলো উপ-নির্বাচনে ২৫ শতাংশের বেশি ভোটাররা ভোট প্রদান করেছেন। এমনকি ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪৫ শতাংশের মতো। উপ-নির্বাচনে যেহেতু সরকার পরিবর্তনের কোনও বিষয় থাকে না সেহেতু জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় এটা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ কম থাকে। স্পষ্টভাবে বলা যায়, জাতীয় নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি আরও বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষ ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ভোট প্রদান করবে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সর্বদা দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করে। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে দুর্নীতি বিএনপির মজ্জাগত বিষয়। দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তাদের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার অঙ্গীকার ছিল উন্নয়ন ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সরকার। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যেখানে সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে সেটা বিবেচনায় না নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অর্বাচীনের ন্যায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির দায় সরকারের উপর চাপানোর অপচেষ্টা করছেন। দেশবাসী ভালো করেই জানে, যাদের রাজনৈতিক উত্থান গণবিরোধী পন্থার সিঁড়ি বেয়ে তারা সবসময় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ফায়দা নেওয়ার অপচেষ্টা করবে। হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যারা গণতন্ত্রের কফিনে পেরেক ঠুকেছে তাদের মুখে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা শোভা পায় না। বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশের গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়েছে। মানবাধিকার হরণ, সংখ্যালঘু হত্যা, বিরোধী মত দমন বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র মিথ্যাচার তাদের একমাত্র হাতিয়ার। আন্দোলনে জনগণের সাড়া না পেয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দ ষড়যন্ত্রের নীলনকশা সাজাচ্ছে। দেশের জনগণ সেটা বুঝতে পেরেই তাদের আন্দোলনে সাড়া দেয়নি।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা একটি মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং দুর্নীতি ও জবাবদিহিহীনতার চৌহদ্দি ডিঙ্গিয়ে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বর্তমান সময়কে ধারণ করেই ভবিষ্যতের দিক-নির্দেশনা দেন। তার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। একইসাথে এই দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে জাতির সামনে তিনি রূপরেখা তুলে ধরেছেন। ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার  ঘোষণা দিয়েছেন।

দিনবদলবিডি/Rabiul

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়