পদ্মা সেতু দিয়ে রেকর্ড আয় বাংলাদেশের

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ১০:৪৫, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই, ২০২২, ২৩ আষাঢ় ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান নাম সরিয়ে বাংলাদেশ রূপে পৃথিবীতে সামনে আসে এক বাংলাভাষী দেশ। আজ তারা স্বাধীনতার অর্ধশতবর্ষ পেরিয়েছে, বিশ্বের সামনে এক নতুন আঙ্গিকে নিজেদের তুলে ধরেছে তারা।

যদিও বারেবারে ধর্মীয় মৌলবাদ সেদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, কিন্তু কিছু শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের জন্য বিশ্বের সামনে নিজেদের এক অনন্য কৃতিত্ব নিয়ে হাজির হয়েছে তারা।

সেই ১৯৯৯ সাল থেকে প্রস্তুতি চলছিল স্রোতস্বিনী পদ্মার বুকে একখানা ব্রিজ তৈরি করা, যাতে সমস্ত জেলাতে পরিবহন এবং সংযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে। এরপর পদ্মার মধ্যে দিয়ে পেরিয়েছে অনেক জল, আর ১১ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে সেখানে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের গর্বের পদ্মা সেতু। আর এই সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই বিশেষজ্ঞদের কথা মতোই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জোয়ার আসতে শুরু করেছে সেদেশে।

এই সেতু নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই যেন। বাংলাদেশের ম্রিয়মাণ অর্থনীতি এবার এই সেতুকে ঘিরে ধরেই নিজেদের পুরনো গতিতে ফিরে আসতে চাইছে। তবে ভারতে যেরকম বিনামূল্যেই সেতু পারাপার করা যায় তেমন হয়নি পদ্মাসেতুর জন্য। সেখানে রীতিমত টোল ট্যাক্স দিয়ে তারপর এই সেতু পারাপার করা যায়। এখনো পর্যন্ত পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী এই সেতু থেকে ১১ কোটি ৯১ লাখ ৮ হাজার ৮২০ টাকা আদায় করেছে সেদেশের সরকার। গত শুক্রবারই সেখান থেকে বাংলাদেশে সরকারের আয় ছড়িয়ে যায় ৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এই ব্যাপারে বাংলাদেশের সেতু এবং পরিবহন বিভাগ জানায় যে, শুক্রবারই এই সেতুর ওপর প্রায় ২৬ হাজার ৩৯৮টি যানবাহন পারাপার করেছে।

এই সেতুর ওপর প্রথম যাত্রী ছিলেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন করার পর তার কনভয় প্রথম পেরোয় ওই সেতুর ওপর দিয়ে। তিনি আবার ১৬,৪০০ টাকা টোল ট্যাক্সও দিয়েছিলেন। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, অত্যুৎসাহী বাংলাদেশীদের জন্য প্রথম দিনেই ৬৯ লক্ষ ৮১ হাজার ৮৮০ টাকার টোল ট্যাক্স আদায় হয়। যানবাহন পারাপার করে প্রায় ৪১ হাজার ৭১৪ টি। এছাড়া ধলেশ্বরী সেতুর কাছের টোলপ্লাজা দিয়ে ২৬ হাজার ৬৪টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ২৪০ টাকা। আর ভাঙা দিয়ে ১৫ হাজার ৬৫০টি গাড়ির থেকে টোল আদায় হয়েছে ২৪ লাখ ৪ হাজার ৬৪০ টাকা। নীচে আরো দুই জায়গা থেকে আয়ের বিবরন দেওয়া হলো-

মাওয়া প্রান্ত : গাড়ি সংখ্যা ১৩ হাজার ৮০১টি। আদায় হয়েছে ১ কোটি ৬৫ লাখ ৪২ হাজার ১০০ টাকা

জাজিরা প্রান্ত : গাড়ি পেরিয়েছে ১২ হাজার ৫৯৭টি। আদায় হয়েছে ১কোটি ৫১ লাখ ১১ হাজার ১০০ টাকা।

আপনাদের জানিয়ে রাখি যে এখনো পর্যন্ত ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা খরচ করেছে বাংলাদেশ সরকার। সরকারের লক্ষ্য প্রথম বছরেই ৫০০ কোটি টাকার আয় করে ফেলা। তবে বেশ কিছু বাইক অ্যাকসিডেন্ট হওয়ার পর সেতুর ওপর বাইক চলাচল নিষিদ্ধ করে দিয়েছে তারা।

সূত্র: ইন্ডিয়াহুড

দিনবদলবিডি/আরএজে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়