নরসিংদীতে উপজেলা চেয়ারম্যাকে গুলি, গ্রেফতার ৫
দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানকে গুলির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরিফ সরকারসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রধান অভিযুক্ত আরিফ সরকারকে ঢাকা থেকে এবং বাকি ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে শিবপুর থানা পুলিশ। আরিফ সরকার শিবপুর উপজেলার পুটিয়া কামারগাঁও গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার শেওড়াপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে আরিফকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রোববার রাতে চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানের ছেলে আমিনুর রশিদ খান বাদী হয়ে পুটিয়া কামারগাঁও এলাকার আরিফ সরকারকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ও ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে শিবপুর মডেল থানায় মামলা করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, পূর্ব সৈয়দনগর এলাকার মৃত আয়েছ আলীর ছেলে মো. মহসিন মিয়া (৪২), পুটিয়া কামারগাঁও এলাকার সুরুজ মোল্লার ছেলে ইরান মোল্লা (৩০), মুনসেফেরচর এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শাকিল (৩৫), কামারগাঁও এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে হুমায়ূন (৩২) ও নরসিংদী সদর থানার ভেলানগর এলাকার ড্রাইভার নূর মোহাম্মদ (৪৮)।
গ্রেফতারকৃত বাকি ৪ জন হলেন, আরিফ সরকারের বড় ভাই ফরিদ সরকার (৬৩), একই উপজেলার সৈয়দনগর গ্রামের রোকন উদ্দিনের ছেলে সাব্বির (৩২), একই গ্রামের আয়েছ আলীর ছেলে মনসুর আহমেদ রানা (৪৩) ও কামারগাঁয়ের সিরাজ মোল্লার ছেলে মোমেন মোল্লা (৫৫)।
শিবপুর মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, গ্রেফতারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পালপাড়া বাজার রোডের পাশের একটি নির্জন বাড়ি থেকে হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবপুর মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার।
তবে আরিফের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদকে গুলি করেছেন মোবারক। তবে সে ঘটনাস্থলে থাকলেও বাসার ভেতরে প্রবেশ করেননি।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম জানান, এ ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্য-উপাত্ত বিশ্নেষণ করে প্রকৃত রহস্য কী, কারা ইন্ধনদাতা সবকিছু বেরিয়ে আসবে। নম্বরহীন একটি মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্তরা হারুনুর রশীদের বাসায় গিয়েছিলেন। জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে উপজেলা সদরের বাজার সড়কের নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন হারুনুর রশীদ খান। তিন দুর্বৃত্ত বাসায় ঢুকে পরপর ২ রাউন্ড গুলি ছুড়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। প্রথমে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। এ ঘটনার পর শনিবার সকাল ৯টা থেকে উপজেলার প্রধান সড়ক ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে প্রায় ৫ ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
সোমবার সকালে নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন নরসিংদী-১ (সদর) আসনের এমপি লে. কর্নেল (অব. মোহাম্মদ নজরুল ইসরাম বীল প্রতিকের সমর্থকরা।
দিনবদলবিডি/Enam