শিরোনাম

আরাভ খান দুবাইয়ে নজরদারিতে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিমান যাত্রীর শরীরে ৩ কোটি ২১ লাখ টাকার স্বর্ণ মিটিংয়ে আসেননি মুরগি ব্যবসায়ীরা, কী উপায় খুঁজছে এফবিসিসিআই নির্বাচনি আইন সংশোধনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উঠছে ২৮ মার্চ ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ১ প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

রোহিঙ্গারা দেশের জন্য বড় বোঝা হয়ে উঠছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বড় বোঝা হয়ে উঠছে। আমাদের অতিরিক্ত জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হচ্ছে।

সিএনএন টিভিকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের জোরাল পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন।

বিখ্যাত সাংবাদিক রিচার্ড কোয়েস্ট এই সাক্ষাৎকার নেন। সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকালে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ক্যাবল নিউজ নেটওয়ার্কে (সিএনএন) সম্প্রচার হয়েছে এবং দ্বিতীয় অংশটি আজ রাতে প্রচারিত হবে। সেখানে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে তাদের (রোহিঙ্গাদের) খাওয়াতে হবে। আমাকে তাদের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে হবে।’ আর রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়ে তিনি বলেন, ‘অব্যাহত এই যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এই যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বের এগিয়ে আসা উচিত।’

যুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে মন্তব্য জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেকোনো সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে আমরা বিশ্বাস করি। কোনো বিরোধ থাকলে সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করা যায়। আমরা কখনই কোনো ধরনের আগ্রাসন বা কোনো সংঘর্ষকে সমর্থন করি না।’ তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে প্রচেষ্টা চালানোর জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা ইউক্রেনের যুদ্ধ, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক, রোহিঙ্গা ইস্যু ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্নের জবাব দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত স্পষ্ট, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয়—আমরা এটি অনুসরণ করছি, তাই যখন আমরা কোনও মানবাধিকার লঙ্ঘন বা আক্রমণ দেখি, আমরা অবশ্যই এর বিরোধিতা করি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুদ্ধ এক পক্ষের দ্বারা সংঘটিত হতে পারে না, উভয় পক্ষের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, প্রতিটি দেশের নিজস্ব ভূখণ্ডে (স্বাধীনভাবে) বসবাস করার এবং তাদের নিজস্ব অঞ্চল রক্ষার অধিকার রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, তার দেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সমর্থন করে, এমন প্রতিটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সবার কাছাকাছি—চীন, যুক্তরাষ্ট্র বা ভারত। যারা আমাদের উন্নয়নে সহযোগিতা করছেন, আমরা তাদের সঙ্গে আছি।’ তিনি বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার। তারা  বিনিয়োগ করছে এবং কিছু নির্মাণকাজ করছে, ‘এটিই মূল কথা।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা কারও ওপর নির্ভরশীল নই।’

চীন থেকে ঋণ নেওয়ার বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্ক। আমরা বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে বেশিরভাগ ঋণ নিয়ে থাকি। চীন থেকে আমাদের ঋণ খুবই কম। এটা শ্রীলঙ্কা বা অন্য কারও মতো নয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অকারণে তাঁর সরকার কোনো ঋণ বা কোনো মেগা প্রকল্প নেয় না। কোনো মেগা প্রকল্প বা ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা বিবেচনা করি, কোন প্রকল্প থেকে আমরা রিটার্ন পেতে পারি এবং আমরা সুবিধাভোগী হব।

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে বাংলাদেশের কী প্রয়োজন, জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি, তারা যেন তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে চাপ দেয়। শুধু তাই নয়, আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে সংলাপও শুরু করেছি। দুর্ভাগ্যক্রমে, তারা সঠিকভাবে সাড়া দিচ্ছে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার সরকার ইতোমধ্যে চীন, আসিয়ান দেশ, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে কথা বলেছে এবং মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে দেশটির ওপর চাপ দেওয়ার জন্য তাদের অনুরোধ করেছে।’ তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, মিয়ানমার সরকার কারও কথাই শুনছে না। এটাই সমস্যা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশি (এক কোটি) মানুষের প্রতিবেশী ভারতে আশ্রয় দেওয়ার কথা বিবেচনা করে মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।’ তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা (১২ লাখ) বাংলাদেশের জন্য একটি ‘বড় বোঝা’ হয়ে উঠছে। কারণ, দেশটিতে অতিরিক্ত জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের  (রোহিঙ্গাদের) খাওয়াতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাকে তাদের (রোহিঙ্গাদের) খাওয়াতে হবে। আমাকে তাদের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে হবে।’

বিনোদন

শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, যা বললেন সেই নারী

গত কয়েকদিনে টক অব দ্যা কান্ট্রিতে রূপ নিয়েছে চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে প্রযোজক রহমত উল্লাহর তোলা ধর্ষণ অভিযোগ। ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিংয়ে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে অভিনেতা ধর্ষণ করেন এবং সেখানে গ্রেফতারও হয়েছিলেন বলে দাবি করেন রহমত উল্লাহ। বিপরীতে শাকিব ওই প্রযোজককে ‘প্রতারক ও বাটপার’ বলে মন্তব্য করেন। এ নিয়ে রহমত উল্লাহ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান এবং চিত্রনায়কও প্রতারণা ও হত্যার হুমকির অভিযোগ এনে মামলা করেন পাল্টা।

সবশেষ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) শাকিব মামলা করে সাংবাদিকদের বলেন, এখন আমি বিজয়ের হাসি হাসছি। কারণ আমি আমার পরিবার ও সবাইকে এটা বোঝাতে পেরেছি যে, এসব একটা ফাঁদ ছিল। আমার ফ্যান-ফলোয়াররা এখন নিশ্চিন্তে কথা বলতে পারবেন।

এদিকে প্রযোজক রহমত উল্লাহর অভিযোগপত্রে যে নারীকে শাকিব ধর্ষণ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই নারী এ ব্যাপারে কথা বলেছেন। দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে অস্ট্রেলিয়ান ওই নারী জানিয়েছেন, বাংলাদেশে তার প্রসঙ্গ টেনে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, সেসব কিছুই জানেন না তিনি।

‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার ব্যাপারে ওই নারী প্রযোজক বলেন, সিনেমাটি সম্পূর্ণ করা হবে কিনা, এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি আমরা। আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে যেসব কথা হচ্ছে, এ জন্য কাউকে আমি অনুমতি দেইনি। এ নিয়ে যে পদক্ষেপ নেয়া হবে, সেটাও জানতাম না আমি।

২০১৬ সালে তোলা ধর্ষণের অভিযোগটি এখনো তদন্তাধীন। এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেবেন সেটি বিবেচনা করবে ভবিষ্যৎ। এখন এসব নিয়ে কোনো কিছু ভাবছেন না বলেও জানান অস্ট্রেলিয়ান ওই নারী।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ বিকেলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর শাকিবের বিরুদ্ধে মিথ্যা আশ্বাস, অসদাচরণ ও ধর্ষণের মতো গুরুতর বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানান ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ।

খেলা

নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন সাকিব

গত কয়েক দিন বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনায় সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার আজ তার ৩৬তম জন্মদিনে মহতী এক উদ্যোগে সাড়া ফেলেছেন। বিশেষ দিনটিতে বাঁহাতি ক্রিকেটার নিজের নামে ক্যানসার ফাউন্ডেশন উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন।

অবশ্য তার এই উদ্যোগের কথা বেশ কিছু দিন ধরে আলোচনাতে ছিল। যে উদ্যোগে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হলেন সাবেক কয়েকজন ক্রিকেটার ও দুজন স্বনামধন্য কোচ। সাবেক ক্রিকেটারদের সেই গ্রুপটির অন্যতম সদস্য হিসেবে অনুষ্ঠানে ছিলেন নাঈম ইসলাম, সোহরাওয়ার্দী শুভ।

সাবেক কোচদের মধ্যে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অভিভাবক বলে পরিচিত নাজমুল আবেদীন ফাহিম এই ফাউন্ডেশনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। শুক্রবার রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাকিবের এই মহতী উদ্যোগের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন তিনি। তারপর টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব নিজের বক্তব্যে ফাউন্ডেশন গড়ে তোলার কারণ উপস্থাপন করেছেন, ‘রোজা শুরু জুমার দিন, আজ আমার জন্মদিন। একদিনে সব মিলে গেছে। দিনটি আলাদা আরেকটি কারণে বিশেষ, আমাদের নতুন একটি উদ্যোগের কারণে। অনেক সময় আমি অনেক কাজের সঙ্গে জড়িত হয়েছি। চেষ্টা করেছি মানুষের পাশে থাকার। কিন্তু এবার প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কিছু করতে চাই। এই ক্যানসার ফাউন্ডেশন করার পেছনে সত্যিকার অর্থে সেটাই কারণ।’

ফাউন্ডেশন দিয়ে সাকিবের স্বপ্ন এখন বড় একটা হাসপাতাল তৈরি। যাতে সুবিধা বঞ্চিত মানুষেরা তার সেবা নিতে পারেন, ‘সাকিব আল হাসান ক্যানসার ফাউন্ডেশন কাজ করতে চায় সেসব মানুষের জন্য, যাদের ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য নেই। আমরা যদি ১০০ বা এক হাজার মানুষকে সহায়তা করতে পারি সেটাই অনেক বড় অর্জন হবে। আমাদের স্বপ্ন বড় একটা ক্যানসার হাসপাতাল করার। যেখানে পরিপূর্ণ আধুনিক চিকিৎসার সকল কিছু থাকবে।’

সাকিবের মহতী উদ্যোগে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। তিনি সাকিবের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘আজকে সাকিবের জন্মদিন, আমি জানতাম না। এটা একটা বড় দিন। আমার জানা উচিত ছিল, কিন্তু জানতাম না। এমন একটা দিনে এ ধরনের একটা প্রোগ্রাম, সত্যিই এর চেয়ে ভালো দিন আর হতে পারে না।’