পলাতক যুদ্ধাপরাধী ফখরুজ্জামান গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:১৫, বুধবার, ১ মার্চ, ২০২৩, ১৬ ফাল্গুন ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

মানবতাবিরোধী অপরাধে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক পলাতক যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।

গ্রেপ্তার হওয়া ওই যুদ্ধাপরাধীর নাম মো. ফখরুজ্জামান (৬৬)। তিনি ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার কলেজ রোড এলাকার মৃত আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এটিইউয়ের একটি দল। অভিযানে খিলগাঁও থানাধীন দক্ষিণ গোড়ান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এটিইউ বলছে, গ্রেপ্তার ফখরুজ্জামান নানা কৌশলে গ্রেপ্তার এড়িয়ে আত্মগোপনে ছিল।

এটিইউয়ের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, ২০১৫ সালের ১৯ মে ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতে মো. ফখরুজ্জামানের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন। 

মামলায় ১৯৭১ সালের ২১ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন শান্তি কমিটির ময়মনসিংহ শহর শাখার আহ্বায়ক এম এ হান্নানের নির্দেশে পাক হানাদার বাহিনী ত্রিশালের কালির বাজার ও কানিহারী এলাকায় গণহত্যা, কয়েক কোটি টাকার সম্পদ লুণ্ঠন, ধর্ষণ, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগে চালিয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়। এ অভিযোগে জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য এম এ হান্নান, তার ছেলে ও মো. ফখরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারটি গ্রহণ করে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশ-১, মিস কেস নং-১১/২০১৫, ধারা-৩, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩ মূলে পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে সাবেক সাংসদ হান্নানকে গুলশানের বাড়ি ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদকে গুলশান এলাকায় তার অফিস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় অপর আসামি ফখরুজ্জামান ও ছাব্বির পলাতক ছিলেন।

২০১৬ সালের ১১ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর হরমুজ আলী, মো. আব্দুস সাত্তার, খন্দকার গোলাম রাব্বানী, খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমেদ ও মো. ফখরুজ্জামানসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। তাদের মধ্যে জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য এম এ হান্নান, তার ছেলে রফিক সাজ্জাত ও মিজানুর রহমান মিন্টু মৃত্যুবরণ করেন। 

গত ২০ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের গোলকীবাড়ী বাইলেনের প্রখ্যাত ভাস্কর আব্দুর রশিদকে অপহরণের পর জিপ গাড়ির পেছনে রশি দিয়ে বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে নির্মমভাবে হত্যা ও লাশ গুমের অপরাধে মো. ফখরুজ্জমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ভিন্ন ভিন্ন অপরাধে অন্যান্য আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজা প্রদান করা হয়। তাদের এ সাজা দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম সমন্বয়ে তিন সদস্যের বেঞ্চ।

গ্রেপ্তার ফখরুজ্জামানকে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

দিনবদলবিডি/Jannat

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়