দেশে নতুন আতংক জাপানিজ এনকেফালাইটিস ভাইরাস

নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:০০, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০২৩, ১৭ ফাল্গুন ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

ডেঙ্গু ও ম্যালেরিইয়ার পর বাংলাদেশে দেখা দিয়েছে মশাবাহিত রোগ ‘জাপানিজ এনকেফালাইটিস। সম্প্রতি এই রোগটি  উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।এই ভাইরাসটি মূলত কিউলেক্স মশার মাধ্যমে ছড়ায়। ১৫ বছর বা এর চেয়ে কম বয়সের শিশুরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয় এবং এই রোগের কোনো চিকিৎসাও নেই। তবে সাময়িকভাবে কিছু চিকিৎসায় রোগের লক্ষণগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

সূত্রমতে এ পর্যন্ত ৬৪টি জেলার ৩৬টিতে এই রোগে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।বাংলাদেশে এই রোগ এখনও খুব আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে না গেলেও মানবদেহে রোগটির প্রভাব মারাত্মক হওয়ায় এখন থেকেই সচেতনতার পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

আইসিডিআর,বি-এর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আক্রান্ত রোগীদের প্রতি চারজনের মধ্যে একজন রোগী মৃত্যুবরণ করেন। অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে রোগটির মৃত্যু হার ৩০%। অর্থাৎ আক্রান্ত ১০০ জনের ৩০ জনই মারা যান।
আবার আক্রান্ত যারা বেঁচে থাকেন তাদের মধ্যে ৩০-৫০ শতাংশ রোগীর শারীরিক ও মানসিক অক্ষমতা তৈরি হয়। যেমন: স্থায়ী বুদ্ধিবৃত্তিক, আচরণগত ও স্নায়বিক ক্ষতি হয়, অনেকে পঙ্গু হয়ে পড়েন, বার বার খিঁচুনি হয়, রোগী আর কথা বলতে পারেন না।এই ভাইরাস মস্তিষ্কে প্রদাহ তৈরি করে।

সাধারণত মশা কামড় দেওয়ার চার থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। সকল বয়সের মানুষের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও ১৫ বছর বা এর চেয়ে কম বয়সের শিশুদের মধ্যে আক্রান্তের হার বেশি।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক মো. সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, তাদের কাছে যেসব রোগী আসছেন তাদের মধ্যে অনেকেই শিশু। তাদেরকে প্রায়ই অজ্ঞান অবস্থায় ভর্তি করা হয়।যেহেতু শিশুরা বাইরে খেলাধুলা করে, ফলে তারা সহজেই মশার সংস্পর্শে বেশি আসে বলে তিনি জানান।

জানা যায়, ২০১৪ সালে বিশ্ব  স্বাস্থ্য সংস্থা জাপানিজ এনকেফালাইটিস রোগের টিকার অনুমতি দিয়েছে। ভারত, নেপাল, মিয়ানমারসহ আরো কয়েকটি দেশে ওই টিকা এ রোগ প্রতিরোধের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশও এই টিকা প্রদানের লক্ষ্যে বেশ কিছু পরিকল্পনা ও কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। এই টিকাদানের সফল বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ থেকে জাপানিজ এনকেফালাইটিস রোগটি নির্মূল করা সম্ভব হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর (এমএনসি ও এএইচ) ডা. মো. সাইদুজ্জামান বলেন, ‘যেকোনো টিকা প্রদানের আগে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয়। গ্যাভির কাছে আমরা চাহিদা দিয়েছি।  তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। তিনি আরো বলেন, সব ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ দেশ এ টিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। এ টিকা বিনা মূল্যে দেওয়া হবে।

দিনবদলবিডি/Jannat

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়