ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘের পদক্ষেপ চাইলেন শেখ হাসিনা

আন্তর্জাতিক সংবাদ || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:১৫, রবিবার, ৫ মার্চ, ২০২৩, ২০ ফাল্গুন ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

পঞ্চম এলডিসি সম্মেলনে যোগ দিতে কাতারের দোহায় অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার দোহা পৌঁছার পর তিনি বৈঠক করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে। এ সময় তিনি যুদ্ধ বন্ধের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের কাছে আহ্বান জানান। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যুদ্ধ যতো তাড়াতাড়ি শেষ হবে, উপকৃত হবে সারাবিশে^র মানুষ। এই যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আমরা ভীষণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। স্যাংশনের কারণে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। গোটা পৃথিবীর মানুষ দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, এই যুদ্ধের অবসান হওয়া দরকার। 

কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (কিউএনসিসি) শনিবার বিকেলে শেখ হাসিনা ও অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সাক্ষাৎ হয়। বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী গুতেরেসকে বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের যথাদ্রুত ইতি ঘটাতে আপনি বিশেষ উদ্যোগ নিতে পারেন। এই যুদ্ধকে পুুঁজি করে যে সব দেশ লাভবান হয়েছে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সাহায্য করতে পারে; অভিমত দেন শেখ হাসিনা।  

প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে, অবিলম্বে তাদের প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। গুতেরেসও একমত হয়ে বলেন, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে হবে। সেখানকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই থাকুক, নিজেদের লোক তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের জন্য এ যাবৎ গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে গুতেরেসকে অবহিত করেন শেখ হাসিনা।  

বৈঠকে আন্তোনিও গুতেরেস উন্নয়ন, কূটনীতি এবং কোভিড মহামারী মোকাবেলায় অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বলেন, অর্জিত সাফল্যগুলো খুবই উৎসাহজনক।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্বের জন্য তারা গর্বিত; যিনি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবেলা করেছেন এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সংকট মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে গেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বিকেলে (স্থানীয় সময়) কাতার জাতীয় কনভেনশন সেন্টারে ইউএনজিএ-র প্রেসিডেন্ট সাবা করোসির সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন।

ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা বৈঠকে সাউথ-সাউথ দেশগুলোকে সম্পৃক্ত করে একটি আন্তর্জাতিক ফোরাম গঠনের প্রস্তাব করেন যাতে উন্নত দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি অনুয়ায়ী সেভাবে সাহায্য না করায় জনগণের কল্যাণে সম্ভাবনা ও করণীয় খুঁজে পাওয়া যায়।

এ প্রসঙ্গে তিনি একদিনের জন্য এই বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সহযোগিতা কামনা করেন।

জবাবে ইউএনজিএ সভাপতি পরবর্তী সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে এই উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে অভিমত দিয়ে বলেন, তারা আগামী জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক সমাবেশের কাজের জন্য নিযুক্ত থাকবেন।

ইউএনজিএ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এটিকে ‘অলৌকিক ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেন। দুই নেতা পানি ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেন।

দিনবদলবিডি/Jannat

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়