‘বাবার খোঁজে গিয়ে দেখি রক্ত আর রক্ত’
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা || দিন বদল বাংলাদেশ
‘বাবাকে দুপুরে ভাত দিয়েছি আমি। এরপর মামার ফোন আসে। আসরের নামাজের আগে বাবা বের হয়। এরপর একটা বিকট শব্দ শুনি। কিছুক্ষণ পর শুনি বাবা আহত। সবাই ছুটে যাই। কিন্তু দেখি রক্ত আর রক্ত। এ খবর শুনে মা অজ্ঞান হয়ে পড়েন।’
কথাগুলো বলেছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকায় অক্সিজেন কারখানায় দুর্ঘটনায় নিহত শামসুল আলমের ছোট মেয়ে মালেকা সিদ্দিকা।
শামসুল আলমের স্ত্রী রেহেনা বেগম বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। কেউ একজন ফোন করে স্বামী শামসুল আলমের দুর্ঘটনার খবরটি দিয়েছিলেন। এরপর দৌড়ে সবাই কদমরসুল বাজারে ছুটে যান।
৬৫ বছরের শামসুল আলমের মাথা থেঁতলে গিয়েছিল। একটু একটু জ্ঞান ছিল তখনো। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সোনাইছড়ি ইউনিয়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ওই প্ল্যান্টে বিকট বিস্ফোরণের পর থেকেই শুরু হয় হতাহতদের নিয়ে দৌড়ঝাঁপ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হওয়ার তথ্য দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
দিনবদলবিডি/Rony