বাসে চার ঘণ্টার পথ ১২ ঘণ্টা, ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে নারী-শিশুরা

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:২১, শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০২২, ২৪ আষাঢ় ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

একদিন পরই ঈদুল আজহা। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে কয়েকদিন ধরেই রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। সময় যত গড়াচ্ছে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘরমুখো ঈদযাত্রীদের চাপ ততই বাড়ছে…

একদিন পরই ঈদুল আজহা। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে কয়েকদিন ধরেই রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। সময় যত গড়াচ্ছে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘরমুখো ঈদযাত্রীদের চাপ ততই বাড়ছে। এদিকে ট্রেনে ঈদযাত্রার চতুর্থ দিন শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে সব ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের দেড়-দুই ঘণ্টা বা তার বেশি দেরিতে ছাড়ছে ট্রেন।

শুক্রবার সকাল থেকেই প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষ ঝুঁকি নিয়ে উঠছেন ট্রেনে ছাদে। এমনকি নারী-শিশুদেরও ট্রেনের ছাদে হুমড়ি খেয়ে উঠতে দেখা গেছে। ট্রেনের ছাদে ভ্রমণে বাধা থাকলেও পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা স্টেশন কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি।

সকালে সরেজমিনে উত্তরবঙ্গগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস, ধূমকেতু এক্সপ্রেস এবং রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোতে এমন চিত্রই দেখা যায়। শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে এসব ট্রেন নির্ধারিত সময়ে স্টেশন ছেড়ে যেতে পারেনি।

প্লাটফর্ম ঘুরে দেখা যায়, যে যেভাবে পারছেন ট্রেনে উঠছেন। অনেকে জানালা দিয়েও উঠার চেষ্টা করছেন। প্ল্যাটফর্মে হাজারো মানুষের জটলা। করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাইও নেই।

যাত্রীদের অনেকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, বাসে দীর্ঘ যানজট, চার ঘণ্টার পথ যেতে লাগছে ১২ ঘণ্টা বা তারও বেশি। খরচও বেশি। তাই বাধ্য হয়েই তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে কমলাপুর স্টেশনে এসেছেন। অনেকে টিকিট পাননি। কিন্তু বাড়ি যেতেই হবে। এ কারণেই ঝুঁকি নিয়ে তারা ছাদে উঠছেন। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নারী, শিশু ও বয়স্কদের।

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়