ভারতে প্রচন্ড গরম: পরিস্থিতি নিয়ে নরেন্দ্র মোদির জরুরি বৈঠক
আন্তর্জাতিক সংবাদ || দিন বদল বাংলাদেশ
ভারতে তীব্র দাবদাহ চলছে। দেশটিতে এবারের গ্রীষ্মকাল গত কয়েক দশকের গরমের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে আশংকা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি যাতে নাগালের বাইরে চলে না যায়, তীব্র দাবদাহে প্রাণ ও সম্পদহানি যাতে না ঘটে সেজন্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন দেশটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত সোমবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে একাধিক নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। টাইমস নাউ
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত দশকের রেকর্ড ভাঙবে এবারে গরম। মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত চলবে তীব্র দাবদাহ। ফলে বহু মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। ক্ষতি হতে পারে চাষাবাদেরও।
সোমবারের বৈঠকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ, রবিশস্যের চাষের ওপর বৃষ্টির প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান কর্মকর্তারা। পাশাপাশি, দাবদাহ সংক্রান্ত অসুস্থতা মোকাবিলা করতে কতটা তৈরি স্বাস্থ্য বিভাগ তাও খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। আবহাওয়া অধিদপ্তরকে প্রতিদিনের পূর্বাভাস তৈরি রাখার নির্দেশ দেন তিনি। হাসপাতালগুলোর অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কতটা তৈরি তাও সরেজমিনে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মোদি। পাশাপাশি দাবানল রুখতে সব পরিষেবা তৈরি রাখার কথা বলেছেন। গরমের সঙ্গে কীভাবে লড়বে, কী করবেন আর কী করবেন না, এসব বিষয়ে স্কুলগুলোতে শেখানোর পরামর্শ দিয়েছেন। শুধু স্কুল নয়, বিভিন্ন বাস স্টপেজ, রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় এধরনের লিফলেট বিতরণের কথাও বলেছেন। বাঁধ ও জলাধারগুলোতে কতটা পানি রয়েছে এবং মজুত থাকা শস্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কি না সেদিকে নজর রাখার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
গম ও অন্যান্য খাদ্যশস্য পাকার সময় ভারতের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে আরেকটি তীব্র তাপপ্রবাহ শস্যের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দেশটির কৃষকরা। তারা বলছেন, চলতি মাসের তাপপ্রবাহের ফলে দেশটির গম উৎপাদন টানা দ্বিতীয় বছরের মতো হ্রাস পেতে পারে।
গত ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে ভারতে। আবহাওয়া অফিস সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, মার্চ মাসে আরেকটি তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হতে পারে দেশ। আর এই তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে ভারতের গম উৎপাদনকারী মধ্য এবং উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান প্রধান রাজ্যগুলোতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের পররাষ্ট্র কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের মার্চে একই ধরনের তাপপ্রবাহের প্রভাবে ভারতের গম উৎপাদন কমে ১০ কোটি টনে দাঁড়ায়; যা স্থানীয় চাহিদার ১০ কোটি ৩৬ লাখ টনের তুলনায় কম।
দিনবদলবিডি/Jannat