বিশ্বে পুষ্টিহীন মায়ের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে: ইউনিসেফ

আন্তর্জাতিক সংবাদ || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:২৫, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০২৩, ২২ ফাল্গুন ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

১২টি দেশে গর্ভবতী ও স্তন্য দানকারী মায়েদের পুষ্টিহীনতা ২০২০ সাল থেকে প্রায় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশগুলো বিশ্বখাদ্য সংকটের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ শিশু সংস্থা সোমবার (৬ মার্চ) এ কথা জানায়। সংস্থাটি সতর্ক করে দেয় যে, এ পুষ্টিহীনতা শিশুদের স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। 

বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের থেকে নেয়া উপাত্ত বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে ইউনিসেফের প্রস্তত রিপোর্টে  বলা হয়, বিশ্বের ১০০ কোটিরও বেশি নারী ও কিশোরী পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। তাদের তাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম হচ্ছে, তারা লম্বাও কম হচ্ছে। পুষ্টিহীনতার কারণে তাদের অতিজরুরী মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের অভাব ও রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। 

এ পুষ্টিহীন মা ও কিশোরীর বেশিরভাগই বিশ্বের সবচাইতে গরিব অঞ্চলের বাসিন্দা। দক্ষিণ এশিয়া ও উপসাহারা অঞ্চলের ৬৮ শতাংশ নারী ও কিশোরীরা পুষ্টিহীনতা ভুগছে। তাদের আবার ৬০ শতাংশ রক্ত স্বল্পতায় ভুগছে। এ অবস্থা কেবল নারীদেরকেই নয়, তাদের সন্তানদেরও জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউনিসেফ জানায়. এ পুষ্টিহীন অবস্থা বংশ পরস্পরায় চলতে থাকবে।

পুষ্টিহীনতা নবজাতকের মৃত্যুরও ঝুঁকিও বৃদ্ধি করছে। এতে ভ্রুণের বিকাশকে বিঘ্নিত করে। যাতে শিশুর পুষ্টি, বিকাশ, শিক্ষা ও ভবিষ্যতে উপার্জনের ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইউনিসেফের রিপোর্টে বলা হয়. “বিশ্বব্যাপী ২ বছরের কম বয়েসি ৫ কোটি ১০ লাখ শিশু খর্বাকৃতির। আমাদের মতে, এসব শিশুর অর্ধেকই মাতৃগভে থাকা অবস্থায় ও জন্মের প্রথম ছয় মাসে আকৃতি বিশিষ্ট হয়। এসব তাদের পুষ্টি পুরোপুরি মায়ের পুষ্টির ওপর নির্ভর করে।

সংস্থাটির হিসেবে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১২টি দেশে গর্ভবর্তী বা স্তন্যদানকারী মায়েদের মারাত্মক পুষ্টিহীনতা ২৫ শতাংশ বেড়ে ৫৫ লাখ থেকে ৬৯ লাখে এেেস দাঁড়িয়েছে। এসব দেশ খাদ্যাভাবে রয়েছে। দেশগুলো হলো: আফগানিস্তান, বার্কিনা ফাসো, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, মালি, নাইজার, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, সুদান, দক্ষিণ সুদান, শাদ ও ইয়েমেন।

ইউনিসেফের প্রধান নির্বাহী ক্যাথেরিন রাসেল এক বিবৃতিতে বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরবর্তী অনেক প্রজন্ম পর্যন্ত এর পরিণাম ভোগ করতে হবে।” তিনি বলেন, “শিশুদের পুষ্টিহীনতা রোধ করতে চাইলে আমাদেরকে অবশ্যই নারী ও কিশোরীদের পুষ্টিহীনতা দূর করতে হবে।”

ইউনিসেফকে পুষ্টিকর খাদ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নারী ও কিশোরীদের অগ্রাধিকার প্রদানের বিষয়কে বাধ্যতামূলক করতে হবে। পুষ্টিহীনতা কমাতে নিয়মিতভাবে ময়দা, তেল ও লবনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাবারের বড় আকারের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার কতে হবে। যা নারী ও কিশোরীদের মাইক্রোনিউট্রিশন ও রক্তস্বল্পতা কমাতে সহায়ক হবে।

দিনবদলবিডি/Jannat

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়