রাজনীতির ইতিহাসে ৫ আলোচিত নারী নেত্রী

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:৪৮, বুধবার, ৮ মার্চ, ২০২৩, ২৩ ফাল্গুন ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

আধুনিক ব্যক্তিমানুষের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা খুবই স্বাভাবিক। রাজনীতি দেশ ও ব্যক্তি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশাল প্রভাব বিস্তার করে আসছে ঐতিহাসিকভাবে। ফলে মানুষ হিসেবে নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়। রাজনীতির মৌলিক চর্চা ক্ষমতাকেন্দ্রিক।

রাজনৈতিক ক্ষমতা সমাজ ও রাষ্ট্রের ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠার প্রধান চাবিকাঠি। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে রাজনীতিতে প্রধানত পুরুষদের একচ্ছত্র আধিপত্য। কিন্তু সভ্যতার শুরু থেকে মাঝে মাঝে রাজনীতিতে নারীদের চমক দেখা যেত। যদিও সে সময় ব্যাপকভাবে নারীরা রাজনীতিতে অংশ নিতে পারত না নানাবিধ প্রতিকূলতার কারণে। ধীরে ধীরে সময়ের প্রয়োজনে এখন নারী রাজনীতিবিদরা পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিশ্বের দেশে দেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।


গোল্ডি মায়ারসন
১৪মে ১৯৪৮ সালে গোল্ডি মায়ারসন ইসরায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণার একজন স্বাক্ষরকারী হিসেবে ছিলেন এবং সেই বছরই তিনি মন্ত্রী নিযুক্ত হন।
১৯৪৯ সালে ইসরায়েলি পার্লামেন্টে তিনি নেসেটে নির্বাচিত হন এবং ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত সেই সংস্থায় দায়িত্ব পালন করেন। শ্রম মন্ত্রী হিসাবে তিনি আবাসন ও রাস্তা নির্মাণের প্রধান কর্মসূচিগুলি পরিচালনা করেন এবং অবাধে ইহুদি অভিবাসনের নীতিকে জোরালোভাবে সমর্থন করেন।

১৯৬৬ সালের জানুয়ারিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অবসর নেয়ার অল্প সময়ের মধ্যে তিনি মাপাই পার্টির সেক্রেটারি জেনারেল হন এবং আন্তঃপার্টি দ্বন্দ্বে প্রধানমন্ত্রী লেভি এশকোলকে সমর্থন করেন।

১৯৬৭ সালের জুন মাসে মিশর, জর্ডান এবং সিরিয়ার বিরুদ্ধে ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের বিজয়ের পর, তিনি মাপাইকে দুটি ভিন্নমতাবলম্বী দলের সাথে ইসরায়েল লেবার পার্টিতে একীভূত করতে সহায়তা করেছিলেন।

১৯৭৩ সালে আরব রাষ্ট্রগুলির সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তার প্রচেষ্টা অক্টোবরে চতুর্থ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রাদুর্ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এই যুদ্ধকে ইয়োম কিপপুর যুদ্ধ বলা হয়। যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রস্তুতির অভাব জাতিকে হতবাক করে দেয় এবং ১৯৭৪ সালে মার্চ মাসে মীর একটি নতুন কোয়ালিশন সরকার গঠন করেন এবং ১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

গোল্ডি মায়ারসন নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে ক্ষমতায় ছিলেন। অবসর গ্রহণের পরও তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

বর্তমান দুনিয়ায় নারীর ক্ষমতায়নের নানা প্রসঙ্গে কথা বলা হলেও এটা এখন প্রায় স্বীকৃত যে রাজনৈতিক ক্ষমতা ছাড়া নারীর পূর্ণ বিকাশ সম্ভব নয়। জাতিসংঘ বলছে, রাজনীতিতে কিংবা সরকারে অথবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ কাঠামোতে বা আইনসভায় নারীর অংশগ্রহণ মানে আবশ্যিকভাবে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের তালিকা বদলে দেয়া, লৈঙ্গিক প্রেক্ষাপটে নতুন মূল্যবোধ, দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতার আলোকে মূলধারার রাজনীতিতে বহুমাত্রিকতা যুক্ত করতে পারা।


সিরিমাভো বন্দরনায়েকে

সিরিমাভো বন্দরনায়েকে ১৯৪৭ সালে সংসদের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি সভার সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ইউএনপি থেকে সম্পর্ক ছেদ করে শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টির (এসএলএফপি) নেতৃত্ব দেন। ১৯৫৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিনিধি সভায় এসএলএফপি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে। এর ফলে সলোমন প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন। কিন্তু সমাজতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক ধারার পরিবর্তন ঘটায় তার সরকারের পতন ঘটে। ১৯৫৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী কর্তৃক তিনি নিহত হন। তার হত্যাকাণ্ডের ফলে সরকারে শূন্যতা সৃষ্টি হয়। সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী সি. পি. ডি সিলভা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় লন্ডনে চিকিৎসার্থে গমন করলে শিক্ষামন্ত্রী বিজেনন্দ দাহানায়েকে আপদকালীন প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন। অস্থিতিশীল সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় এবং ১৯৬০ সালের মার্চের নির্বাচনে এসএলএফপি পরাজিত হয়।

এ সময় সিরিমাভো অগ্রসর হন এবং তার স্বামীর দলের নেতৃত্ব দেন। এভাবেই তিনি রাজনীতির অঙ্গনে প্রবেশ করেন। ১৯৬০ সালে এম. পি. ডি জয়সা, জুনিয়র সিনেট থেকে পদত্যাগ করলে সিরিমাভো এসএলএফপির পক্ষ থেকে সিনেট সদস্য হন। ১৯৬০ সালের জুলাই নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে জয়লাভ করান। ২১ জুলাই ১৯৬০ সিনেটর থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সিরিমাভো। এর ফলে তিনি বিশ্বের প্রথম নির্বাচিত মহিলা প্রধানমন্ত্রী হন।

সিরিমাভো বন্দরনায়েকে ছোটবেলা থেকেই রাজনৈতিক বিষয়ে উৎসাহী ছিলেন। তৎকালীন প্রভাবশালী মন্ত্রী এস.ডব্লিউ.আর.ডি. বন্দরনায়েকে সাথে বিয়ে করার পর সিরিমাভো রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন।

তার স্বামীকে হত্যার পর সক্রিয় রাজনীতিতে তার প্রবেশ ঘটে এবং শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টির সদস্যদের কাছ থেকে তাকে তার প্রয়াত স্বামী যে পার্টির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তার নেতৃত্ব নেয়ার জন্য ক্রমাগত আবেদনের শুরু হয়। তখনই সিলন তার প্রথম নারী নেতাকে পেয়েছিল। সিরিমাভো সারা বিশ্বে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীকালে বিরোধী দলের নেত্রী ও ছিলেন।


ইন্দিরা গান্ধী
দক্ষিণ এশীয় রাজনীতিতে ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন এক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার উল্লেখযোগ্য সমর্থন ও ভূমিকা ইতিহাসে চিরস্মরণীয়। ভারতীয় রাজনীতির আরেক দিকপাল তার পিতা জওহরলাল নেহেরুর হাত ধরেই রাজনীতিতে প্রবেশ ইন্দিরার। সেসময় অনেক বিশেষজ্ঞেরই ধারণা ছিল, পিতার হাত ধরে রাজনীতির আঙিনায় ইন্দিরার অধিষ্ঠান খুব একটা সুখকর ও দীর্ঘস্থায়ী হবে না। কিন্তু তাদের অনুমান ভুল প্রমাণ করে ইন্দিরা গান্ধী ভারতীয় রাজনীতিতে অপরিহার্য হয়ে ওঠেন। রাজনীতিতে তিনি তার পিতার চেয়ে কোনো অংশে কম ছিলেন না, বরং এ কথা অনস্বীকার্য যে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিনি পিতাকেও ছাড়িয়ে গেছেন।

সময় যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইন্দিরা তখন সুইজারল্যান্ডের একটি স্যানিটোরিয়ামে। বাড়ির লোক তাকে দেশে ফিরে আসতে বললো। কোনোক্রমে তিনি লন্ডনে এসে পৌঁছলেন। কিন্তু কোথাও যাওয়ার রাস্তা নেই। অগত্যা পুরো বিশ্বযুদ্ধের সময়টা তাকে কাটাতে হলো লন্ডনেই।

বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ইন্দিরা দেশে ফিরে এলেন। ঝাঁপিয়ে পড়লেন ছাত্র আন্দোলনে। অক্সফোর্ডে থাকাকালীন তার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে ফিরোজ গান্ধী নামের এক পার্সি পরিবারের ছেলের সাথে। ফিরোজও ছিল যুব কংগ্রেসের এক উজ্জীবিত কর্মী। দুজনের মাঝে গড়ে উঠে ভালোবাসার সম্পর্ক। দুজনই দুজনকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পছন্দ করে নেন।

তারপর ১৯৪২ সালের মার্চে ফিরোজ- ইন্দিরার বিয়ে হয়। পরে অবশ্য জওহরলাল নেহেরু তাদের সাদরে গ্রহণ করেন।

১৯৫৫ সালে ইন্দিরা কংগ্রেস হাই কমান্ড ও নির্বাচনী কমিটির সদস্য ছিলেন ইন্দিরা। ১৯৫৬ সালে তিনি যুব কংগ্রেসের সভাপতির পদে ছিলেন। ১৯৫৯ সালে কংগ্রেস সভাপতি হলেন। এর আগে পিতামহ মতিলাল এবং জওহরলালও এই পদটি অলঙ্কৃত করে গেছেন।

১৯৬৪ সালে তিনি রাজ্যসভার সদস্যপদ লাভ করেন। সে বছরেই জওহরলাল নেহেরু মারা যান। প্রধানমন্ত্রী হলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় ইন্দিরার জায়গা হলো। তিনি তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী হন। ১৯৬৬ সালে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর আকস্মিক মৃত্যু হয়। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মোরারজি দেশেইয়ের মতো প্রবীণ কংগ্রেসের নেতা ছিলেন মূল দাবিদার।

মেররাজির পাওয়া ১৬৯ ভোটের বিপক্ষে ৩৬৫ ভোট পেয়ে ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হলেন। ইন্দিরা প্রমাণ করলেন তিনি কতখানি বিচক্ষণ, কতখানি রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি সম্পন্ন। অল্প দিনেই ইন্দিরা হয়ে উঠলেন ভারতীয় রাজনীতির একজন প্রবল ও প্রতাপশালী নেতা।

শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্যসহ ঘাতকের নির্মম বুলেটে নিহত হলে তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা বিদেশে অবস্থান করার কারণে বেঁচে যান। ১৯৮১ সালে তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন করে সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন। যারা তাকে দেখেছেন পুরো সময়জুড়ে তারা বলছেন, শেখ হাসিনা টানা ৪২ বছর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আছেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে হত্যার ৬ বছর পর দলের দায়িত্ব নেন তিনি। ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার ৫ বছর পর ১৯৮৬ সাল থেকে ৫ বছর তৃতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে ভূমিকা রাখেন তিনি । শেখ হাসিনা ১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ৮৮ আসন পেয়ে আবারও বিরোধী দল হিসেবে সংসদে ভূমিকা রাখেন।

১৯৯৬ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নির্বাচনে জিতে প্রথমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এ বছর তিনি জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে সংসদে ভূমিকা রাখেন।

২০০৬ সালে সামরিক রাজনীতিকালে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১১ মাস পর ২০০৮ সালের ১১ জুন তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলে শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার বিজয়ী হলে ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বার শপথগ্রহণ করেন তিনি।

২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা।

বেনজির ভুট্টো
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো তার অদৃষ্টের বোধ দ্বারা কতটা তাড়িত ছিলেন ও কতটা তার জীবনের বিশেষ পরিস্থিতি থেকে সৃষ্ট ছিলেন- সে প্রশ্নের জবাব ঐতিহাসিকরাই খুঁজবেন নিশ্চয়।

বেনজির ভুট্টো ডটার অব পাকিস্তান বা পাকিস্তানের কন্যা বলে পরিচিতি পান। পরে ডটার অব ইস্টও বলা হত তাকে। ১৯৭৭ সালে বেনজির ভুট্টো হার্ভার্ড ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতির ওপর পড়াশোনা শেষে দেশে ফেরেন। তার অল্পদিন পরই ক্ষমতা দখল করেন সেনা শাসক জিয়া উল হক।

১৯৭৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক কর্তৃক তার পিতা ভুট্টোকে একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করে ফাসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যার পর তিনি পাকিস্তানের রাজনীতিতে পা রাখেন। জিয়াউল সরকার তাকে বহুবার কারাগারে পাঠিয়েছিলেন।

১৯৮৪ সালে বেনজির ভুট্টো লন্ডন চলে যান ও ১৯৮৬ সালে দেশে ফেরত আসেন। সরকার বিরোধী আন্দোলনে বেনজীর ভুট্টো জনমত গঠন করেন এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে জয়ী হয়ে পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

৬ আগস্ট ১৯৯০ সালে তাকে বরখাস্ত করা হয়। ১৯৯৩ সালের নির্বাচনে তিনি পুনরায় জয়লাভ করেন ও দ্বিতীয়বারের মত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ৬ নভেম্বর তাকে আবারও অবৈধভাবে বরখাস্ত করা হয়।

পরবর্তীকালে ১৯৯৭ সালের নির্বাচনে তিনি হেরে যান। আট বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন কাটিয়ে ২০০৭ এর অক্টোবরে বেনজির পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তন করেন। ২০০৭ সালে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে প্রচারণা চালানোর সময় এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় তিনি নিহত হন।

দিনবদলবিডি/Anamul

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়