কফিন খুলে দেখা গেল মরদেহ আরেকজনের, কবর খুঁড়েও হলো না দাফন!

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ১১:০৬, রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩, ২৭ ফাল্গুন ১৪২৯
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার দামোধরতুপি গ্রামের আফসর মিয়া -ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার দামোধরতুপি গ্রামের আফসর মিয়া -ছবি: সংগৃহীত

বিদেশ থেকে নির্ধারিত তারিখেই লাশ আসে। সে অনুযায়ী, পরিবারের লোকজন বিমানবন্দরে গিয়ে লাশভর্তি কফিনও বুঝে নেন। ওইদিন দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে স্বজনরা লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছান। এরপর লাশ দাফনের জন্য যাবতীয় সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেন। খোঁড়া হয় কবর। কিন্তু জানাজার আগে কফিন খুলে দেখা যায়, লাশটি আরেকজনের। পরে জানাজা ও কবর কোনটাই আর হয়নি।

শনিবার (১১ মার্চ) সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ঘটেছে এমন ঘটনা। বিদেশ থেকে আসা কফিন খুলে পাওয়া লাশটি আফসর মিয়া (৪০) নামের ব্যক্তির নয়। লাশটি জালাল উদ্দিন (৫২) নামের একজনের।

জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গ্রিসে মারা যান উপজেলার দামোধরতুপি গ্রামের জমসিদ আলীর বড় ছেলে আফসর মিয়া (৪০)। এরপর শুক্রবার রাতে লাশভর্তি কফিনটি তার স্বজনদের বুঝিয়ে দেয় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসীকল্যাণ ডেস্ক। পরে স্বজনেরা লাশটি সুনামগঞ্জে চলে যান। শনিবার সকালে এলাকায় মাইকিং করে জানাজার সময় দেখা যায় লাশটি তার নয়।

আফসর আফসর মিয়ার ভাগনে তোফায়েল আহমদ বলেন, বিমানবন্দর থেকে তিনি শুক্রবার কফিনভর্তি লাশটি বুঝে নেন। কফিনের ওপরে তার মামার নাম-ঠিকানা লেখা ছিল। কিন্তু শনিবার সকালে কফিন খুলে দেখেন লাশটি তার মামার নয়। এরপর তারা বিষয়টি পুলিশকে জানান।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ছয় মাস আগে গ্রিসে যান আফসর মিয়া। বাড়িতে তার স্ত্রী ও ছয় বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। তার আরেক ভাই এমরান মিয়াও গ্রিসে আছেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আফসর মিয়া লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে গ্রিসের একটি হাসপাতালে মারা যান। 

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়