পঞ্চগড়ে সহিংসতায় সরকারের মদদ রয়েছে: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব বলেন, পঞ্চগড়ে সহিংসতার দায়ভার সম্পূর্ণ সরকারকেই নিতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপি'র ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং আসল আসামিদের আড়াল করতেই বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে। এর সঙ্গে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জড়িত।

সোমবার (১২ মার্চ) ঠাকুরগাঁয়ের নিজ বাসভবনে জেলা বিএনপির বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে আরো বলেন, রেলমন্ত্রীর সামনে আহমদীয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা স্পষ্ট করে বলেছেন, আপনার আশেপাশের লোকেরাই এই সহিংসতার সঙ্গে জড়িত। তার মধ্যে আব্দুর রহমানের নাম উল্লেখযোগ্য। কিন্তু তাদের কাউকেই গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ মামলাও হয়নি তাদের বিরুদ্ধে। উল্টো বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ১৮০ জন নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা উচিত, না করলে জনগণ তা মনে রাখে এবং সময় আসলে জনগনই তার উচিত জবাব দেয়। বাংলাদেশের যে সংস্কৃতি, রাজনৈতিক দলগুলোর একে অন্যের প্রতি অনাস্থা তাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার একমাত্র সমাধান। যার মাধ্যমে আমরা এই রাজনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে পারি এবং সকলের অংশীদারীতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারি।

তিনি আরো বলেন, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাবেক এমপি হারুন ও ব্যারিস্টার রুমিন ফাহানাকে দায়ী করেছেন। এটি বানোয়াট ভিত্তিহীন। এই সরকার গোয়েনদা বাহিনীকে ব্যবহার করে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপচারণা চালাচ্ছেন। 

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে তিনি বলেন, পার্লামেন্টারি এক কমিটিতে আওয়ামী লীগও মতামত দিয়েছিল দেশে আরো দুই নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়া উচিত। এছাড়াও হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছিল। সেখানে নয়জনকে ডাকা হয়েছিল। তাদের মধ্যে আটজনই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে কথা বলেছেন। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট এড়াতে একমাত্র সমাধান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান। সহ-সভাপতি আল মামুন, সহ সভাপতি ওবায়দুল্লাহ হক মাসুদ, ঠাকুরগাঁও ৩ আসনের সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান সহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের  নেতাকর্মীরা।