লিবিয়া থেকে ২ টনেরও বেশি ইউরেনিয়াম হারিয়ে গেছে, সতর্ক করল আইএইএ

আন্তর্জাতিক সংবাদ || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:৩৬, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩, ২ চৈত্র ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) গোপন এক বিবৃতিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে বিষয়টি জানিয়েছে। আইএইএ উধাও হয়ে যাওয়া ইউরেনিয়াম খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। সিএনএন

আইএইএ’র একজন মুখপাত্র জানান, গত ১৪ মার্চ একটি পরিদর্শনের সময় ১০টি ড্রামে থাকা ‘প্রায় ২.৫ টন প্রাকৃতিক ইউরেনিয়াম’ খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে এক বিবৃতিতে আইএইএ জানায়, এজেন্সি সেফগার্ডস ইন্সপেক্টররা দেখতে পেয়েছেন যে ইউরেনিয়াম আকরিক ঘনত্বের আকারে প্রায় ২.৫ টন প্রাকৃতিক ইউরেনিয়াম ধারণকারী ১০টি ড্রাম সেখানে ছিল না। আইএইএ মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি সংস্থাটির সদস্য দেশগুলিকে জানান হারিয়ে যাওয়া ইউরেনিয়াম খুঁজে বের করার জন্যে কাজ করছেন। 

জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণকারী পরিদর্শকরা বিষয়টি টের পাওয়ার আগে তা কেউ জানতে পারেনি। লিবিয়ার ওই স্থানটি দেশটির সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল না বলে জানিয়েছে তারা। গত বছরই এই স্থানটি পরিদর্শনের পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু ওই ‘অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে তা স্থগিত করতে হয়েছিল’ বলে আইএইএ এর প্রধান রাফায়েল গ্রোসির গোপনীয় বিবৃতিতে জানানো হয়। 
এক পাতার ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিদর্শকরা দেখতে পান, ঘনীভূত ইউরেনিয়াম আকরিক (ইউওসি) অবস্থায় ১০টি ড্রামে রাখা প্রায় আড়াই টন প্রাকৃতিক ইউরেনিয়াম ওই স্থানটিতে নেই, কিন্তু আগে এক ঘোষণায় (লিবিয়া) জানিয়েছিল ইউরেনিয়ামগুলো সেখানে রাখা হয়েছে। তবে লিবিয়ার কোন স্থান থেকে ইউরেনিয়ামগুলো খোয়া গেছে তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। 

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, পারমাণবিক উপাদানের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে অজ্ঞতা তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, পাশাপাশি পারমাণবিক নিরাপত্তা উদ্বেগও তৈরি করে।
২০০৩ সালে লিবিয়ার তৎকালীন নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি তাদের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করে দেন। তখন লিবিয়া সেন্ট্রিফিউজ সংগ্রহ করেছিল যেগুলো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি একটি পারমাণবিক বোমার নকশার তথ্যও দিতে পারতো। কিন্তু বোমা তৈরির ক্ষেত্রে লিবিয়া তেমন একটা অগ্রসর হতে পারেনি। ২০১১ সালে নেটোর সমর্থনে হওয়া গণঅভ্যুত্থানে গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হওয়ার পর থেকে লিবিয়ায় অস্থিরতা বিরাজ করছে। ২০১৪ সাল থেকে দেশটির রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ পূর্ব-পশ্চিমের প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বিভক্ত হয়ে আছে। ২০২০ সালে এসব পক্ষগুলোর মধ্যে শেষ বড় যুদ্ধ হয়।

দিনবদলবিডি/Jannat

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়