পাড়াবাসীর ভালোবাসায় টিকে আছে ৫৮ বন

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ রাত ০৮:৩৮, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০২৩, ৭ চৈত্র ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

পরিবেশ সুরক্ষায় বনের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রকৃতির প্রাণ বন। আর বন না থাকলে পরিবেশ বিপন্ন হবে। আর সেই বনকে ছয় দশকের বেশি সময় ধরে রক্ষা করে চলছে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলার নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা। বনের প্রতিটি পাড়াবন এখনও শত প্রজাতির উদ্ভিদ, লতাগুল্ম, ঝিরি-ঝর্ণা, বিভিন্ন প্রজাতি পাখি, বন্যপ্রাণী ও প্রাণ-প্রকৃতির প্রাচুর্যতায় ভরপুর।

জানা গেছে, খাগড়াছড়ি জেলা সদরে ১১টি, দীঘিনালায় ১৮টি, পানছড়িতে সাতটি, মহালছড়িতে নয়টি, লক্ষ্মীছড়িতে আটটি, মাটিরাঙায় দুটি এবং গুইমারায় তিনটিসহ মোট ৫৮টি পাড়াবন সংরক্ষণ করছে পাড়াবাসী। বন সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের বনাঞ্চলের প্রায় ৪৩ শতাংশ পার্বত্য চট্টগ্রামে আর ২,৭,১৭,১৩১ একর সংরক্ষিত বনের মধ্যে এখানেই রয়েছে ৮,৮৬,১০১ একর।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বন রক্ষায় ২০২০ সালের ১ জুলাই ইউএসএআইডির অর্থায়নে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইউএনডিপির উদ্যোগে একটি প্রকল্পের আওতায় ভিলেজ কমন ফরেস্ট (ভিসিএফ) বা গ্রামীণ সাধারণ বন বা পাড়াবন রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া হয়।

জানা যায়, খাগড়াছড়ির মহালছড়ির কায়াংঘাট ইউনিয়ন পরিষদের উল্টাছড়ি বিহারপাড়ার ৮০ পরিবার ১৯৬৫ সালে থেকে বনের রক্ষাবেক্ষণ করছে। ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে পাড়ার মানুষের ভালোবাসায় প্রায় ২০০ একরের বনজুড়ে চিরহরিৎ বৃক্ষগুলো টিকে আছে। তারা এই বন থেকে গাছ কাটেন না, ঝিরি থেকে মাছ-কাঁকড়াও ধরেন না। ফলে তাদের এই ধরনের উদ্যোগ সুফল পাচ্ছে পাহাড়ের মানুষও।

উল্টাছড়ি ভিসিএফ ব্যবস্থাপনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ চন্দ্রা চাকমা বলেন, বন রক্ষায় আমাদের এখানে কমিটি কাজ করে। বন থেকে গাছ, বাঁশ কাটলে বা ঝিরি থেকে কাঁকড়া, মাছ ধরলেও অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়ার বিধান রয়েছে। প্রকল্পের জেলা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ফরায়েজী বলেন, বন সংরক্ষণের জন্য পাড়াবাসীকে বিভিন্ন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতাও করা হয়।

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়