রাহুল ইস্যুতে ভারতজুড়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি কংগ্রেসের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধীর পার্লামেন্টের সদস্যপদ খারিজের প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রতিবাদ ও আন্দোলন কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।
২৪ মার্চ কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মুখপাত্র জয়রাম রমেশ।
জয়রাম রমেশ বলেন, শুক্রবার রাজধানী নয়াদিল্লির সেই বৈঠকে কংগ্রেসের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রাহুল গান্ধীর মা সোনিয়া গান্ধী, বর্তমান প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়্গে, সাবেক মন্ত্রী পি চিদাম্বরম এবং জেনারেল সেক্রেটারি পর্যায়ের নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র, কেসি বেনুগোপাল, রাজীব শুকলা, তারিক আনোয়ার, আনন্দ শর্মা, অম্বিকা সোনি, মুকুল ওয়াসনিক পবনকুমার বনসাল ও জয়রাম রমেশ নিজেসহ আরও বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, রাহুল গান্ধীর পার্লামেন্ট সদস্যপদ বাতিলের প্রতিবাদে আগামী দিনগুলোতে দেশজুড়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। আজকের বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল সেই আন্দোনের কৌশল নির্ধারণ করা।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে রাহুল প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘সব চোরেদের পদবী মোদি হয় কেন?’ আইপিএল কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ললিত মোদী, ব্যাঙ্ক-ঋণ মামলায় ‘পলাতক’ নীরব মোদীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুলনা টেনেছিলেন তিনি।
ওই ঘটনায় ‘পদবী অবমাননার’ অভিযোগ তুলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় রাহুলের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মানহানির মামলা করেছিলেন গুজরাটের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি। শুক্রবার সেই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল এবং ভারতের দণ্ডবিধি অনুযায়ী তাকে দুই বছর কারাবাসের সাজা ঘোষণা করেন আদালত।
বিচারক অবশ্য রাহুলকে উচ্চ আদালতে আপিল করার জন্য ৩০ দিন সময় দিয়েছেন, কিন্তু দণ্ডাদেশ স্থগিত করেননি।
এদিকে ভারতের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১) অনুযায়ী, দেশটির কোনো এমপি-বিধায়ক যদি দুই বছর বা তার বেশি সময় কারাবাসের সাজা পান, সেক্ষেত্রে ওই জনপ্রতিনিধির পার্লামেন্ট-বিধানসভার সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায়।
দিনবদলবিডি/Rony