সামর্থ্যের মধ্যে দুধ-ডিম-মাংস কিনতে পেরে খুশী ক্রেতারা

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:১৭, সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩, ১৩ চৈত্র ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষের দুর্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে। রমজান ঘিরে পণ্যের দাম এখন আরও চড়া। বিশেষত, নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য কিনতে বাজারে গিয়ে কপালে ভাঁজ পড়ছে ক্রেতাদের। ঊর্ধ্বমূল্যের বাজারে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে। সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় সীমিত আয়ের মানুষেরা। তবে রমজানে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে সুলভ মূল্যে পণ্য বিক্রির ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্র।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পবিত্র রমজান মাসে রাজধানীতে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম রোজা থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে ২৮ রোজা পর্যন্ত।

কম দামে এসব পণ্য পেয়ে খুশি ক্রেতারা। বলছেন, বাজারে মাংস, দুধ, ডিমের যে দাম সে তুলনায় এখানে অনেকটা কম। ফলে সামর্থ্যের মধ্যে এসব পণ্য কেনা সম্ভব হচ্ছে। তবে বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গতবারের তুলনায় দাম বাড়ানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনার কথা বলছেন তারা।

সচিবালয়ের পাশে আবদুল গণি রোডে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সব এলাকায় এই সুলভ মূল্যের বিক্রয়কেন্দ্র না থাকায় অনেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে আসছেন। ক্রেতারা বলছেন,  এখান থেকে মুরগির মাংস, গরুর মাংস আর ডিম নিতে পারছেন তারা অল্প দামে। বর্তমানে বাজারে যে দাম সেটা কেনা খুব কঠিন, সেই হিসাবে সুলভ মূল্যে পণ্য পেয়ে তাঁদের বেশ সুবিধা হচ্ছে। সারাদেশে এই কার্যক্রম আরও বাড়ানো উচিত বলেও মনে করছেন তারা।

এ বছর প্রাথমিকভাবে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস ৯৪০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুধ, ডিম ও মাংসের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে রমজান মাসে জনসাধারণ যেন প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে সে লক্ষ্যে ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারী ও সাপ্লাই চেইন সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়