জেসমিনের মৃত্যুতে কারো দায় থাকলে ব্যবস্থা: র‍্যাব

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:০০, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩, ১৪ চৈত্র ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় বাহিনীর কারো দায় থাকলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

২৮ মার্চ দুপুরে রাজধানীতে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, র‌্যাব হেফাজতে থাকা অবস্থায় মারা যাওয়া সুলতানা জেসমিনের মাথায় আঘাতের কোনো চিহ্ন থাকার বিষয়টি জানে না র‌্যাব। এই জাতীয় কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। ডেথ সার্টিফিকেট, সেখানেও এ রকম কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

জেসমিনের মৃত্যুতে বাহিনীর কারো দায়িত্বে অবহেলা ছিল কি না, জানতে চাইলে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, রাজশাহীতে কর্মরত যুগ্ম সচিব এনামুল হকের নামে ফেসবুক খুলে একটি চক্র প্রতারণা করে আসছিল। তিনি ২০২২ সালের মার্চ মাসে জিডি করেন তার আইডি হ্যাক হয়েছে বলে, আদালতে মামলাও করেন। গত ১৯ ও ২০ মার্চ তার নাম পদবি ব্যবহার করে অর্থ নেয়া ও প্রতারণার তথ্য আসে তার কাছে। তখন তিনি জানতে পারেন আল আমিন নামে একজন জড়িত। জেসমিনের নামে একজনেরও তথ্য পান।

‘২২ তারিখ ওই কর্মকর্তা অফিস যাওয়ার সময় টহলরত র‌্যাবের গাড়ি পেয়ে অভিযোগটি জানান। র‌্যাব তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ওই নারীর অবস্থান সনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।’

র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, যুগ্ম সচিবের সামনেই ওই নারীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জন্য আটক করে র‌্যাব। তিনি জড়িত কি না  জিজ্ঞাসা করা হয়। এ সময় নারী র‌্যাব সদস্যরা ছিলেন। সাক্ষীদের সামনে তিনি অপকটে স্বীকার করেন। তার মোবাইলে সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট পাওয়া যায়। লাখ লাখ টাকা জমার প্রমাণ পাওয়া যায়।

ঘটনাক্রম জানিয়ে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাকে আটক করে র‌্যাব। সাক্ষীদের উপস্থিতিতে কম্পিউটারের দোকানে নিয়ে আলামত প্রিন্ট করা হয়। এরপর থানায় যাওয়ার পথে অসুস্থবোধ করেন তিনি। নওগাঁ হাসপাতালে নেয়া হয়। গাড়ি থেকে নেমে তিনি যান। স্বজন, এসি ল্যান্ডসহ অন্যরাও হাসপাতালে আসেন। অবস্থা খারাপ হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়া হয়। সিটিস্ক্যানে স্ট্রোকের আলামত পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তিনি মারা যান।

র‌্যাব নিজে ঘটনাটি তদন্ত করছে জানিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, অভিযোগ যেহেতু এসেছে, আমরা নিজেরা ঘটনার তদন্ত করছি। কারো গাফিলতি আছে কি না। বিজ্ঞ আদালত আমাদের কাছে কিছু কোয়ারিজ দিয়েছে। আদালতে সেগুলো উপস্থাপনা করা হবে। তদন্ত কমিটি গতকাল করা হয়েছে। সময় লাগবে।
 

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়