সংসদ নির্বাচনে থাকছেনা ইভিএম:কি ভাবছে রাজনৈতিক দলগুলো

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:৫৯, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৩, ২৩ চৈত্র ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে শুরু থেকেই রাজনৈতিক দলগুলো পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আর্থিক সংকটের কারণে ইভিএম থেকে সরে আসে নির্বাচন কমিশন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনে ব্যালট পেপার ও বাক্সের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ'র সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।

ইসির এমন সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ বলছেন, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম দিয়ে কারচুপি হয়- এ ধরনের অভিযোগ থেকে নিস্তার পাওয়া গেল।তবে ইভিএম ব্যবহার না করার ফলে অসুবিধাও তৈরি  হতে পারে। কেউ বলছেন, ব্যালট পেপারের ভোটে দেখা যায় অনেক সময় অনেকে ভোট কেন্দ্র দখল করতে চান, ভোটগ্রহণের সময় প্রভাব বিস্তার করার মতো প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে।

এই প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন প্রযুক্তিগত দিক থেকে ইভিএমের পক্ষে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ইভিএম একটি আধুনিক প্রযুক্তি। এ পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচন হলে কেউ ভোট কারচুপির অভিযোগ করতে পারবেন না। কারণ, এতে কারচুপির সুযোগ নেই। এর বাইরে ইভিএমে ভোটের তথ্য বছরের পর বছর সংরক্ষিত থাকে, যেটা ব্যালটে সম্ভব হয় না।

তিনি আরও বলেন, জনগণ যেন পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে সেজন্য আওয়ামী লীগ আধুনিক প্রযুক্তির ইভিএম দাবি করেছিল। কিন্তু আমরা জনগণের প্রতি আস্থাশীল। নির্বাচন কমিশন যে পদ্ধতিতে নির্বাচন করবে, আমরা তাতে অংশ নিতে প্রস্তুত।

অন্যদিকে, বিরোধী পক্ষ বিএনপি যখন দাবি করেছে জাতীয় নির্বাচন ইভিএম ব্যবহার বন্ধ করা হোক এবং তাদের ১০ দফার তৃতীয় দফা ছিল এটি ,এখন সেটি বন্ধ করা হল। সুতরাং সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি বিএনপি আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণ করবে? কারণ দলটি এতোদিন ধরে দাবি করে আসছে যে ইভিএমে ভোট কারচুপি করা হয়, সে সুযোগ ইভিএমে আছে। কিন্তু এখন সেই ইভিএম ব্যবহার থেকে নির্বাচন কমিশন সরে এসেছে।

তবে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে ভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেছেন বিএনপির একাধিক স্থায়ী কমিটির সদস্য। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে হবে নাকি ব্যালটে হবে তা নিয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই। বিএনপির মূল দাবি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

এদিকে দলটির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন কামনায় অনেকগুলো দাবি করেছি। এর মধ্যে একটি হলো ব্যালট বাক্সে নির্বাচন। আরেকটি হলো নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাচন। এখন নির্বাচন কমিশন ব্যালট বাক্সে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিশ্বাস করি, তারা বাকিগুলোও পূরণে সহায়তা করবেন।

এছাড়া সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালটে ভোট এটা আমাদেরও দাবি ছিল। যেহেতু কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটাকে আমরা স্বাগত জানাই।

দিনবদলবিডি/Rakib

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়