অঙ্গ সংগঠনে বিরক্ত বিএনপি!

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:২৬, শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩, ২৫ চৈত্র ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের অঙ্গ সংগঠনগুলোকে গুছিয়ে নিতে কাজ করছে। কিন্তু সবদিক থেকে পিছিয়ে পড়েছে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। শেষ মূহুর্তে দলটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের। দলের স্থায়ী কমিটি থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নানা রকম ঝামেলায় জর্জরিত বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।

কোন কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারে না দলটি। সবখানে তাদের মারামারি দলীয় কন্দোল লেগেই থাকে। সম্প্রতি একটি ইফতারে দাওয়াত দিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।এতে নতুন করে সমলোচনায় পড়েছে দলটি। এসব কারণে অঙ্গ সংগঠনগুলোর প্রতি বিরক্ত বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতারা।

এর আগে, ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা পালনের সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল দলটির অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদলের নেতা কর্মিরা। এই সময় তাদের হাতে  লাঠি, রড়, বাঁশ ও দেশীয় অস্ত্র দেখা গেছে। এই সব অস্ত্র দিয়ে সাধারণ মানুষ ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করে তারা। এছাড়াও নিজেদের মধ্যেও গ্রুপিং ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত।

সূত্র বলছে, বিএনপিতে নেতৃত্ব সংকট দীর্ঘদিনের। ১১টি সংগঠনের মধ্যে ছাত্রদলসহ সবকটিই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে।  দীর্ঘদিন নতুন কমিটি না থাকায় হতাশ ও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। ফলে তারা বিভিন্ন নাশকতামূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। আর তার দায় এসে পড়ছে মুল দলের ওপর। এ কারণেও অঙ্গ সংগঠনের ওপর ক্ষুব্ধ দলের হাই কমান্ড।

আবার দলীয় কর্যক্রমে তেমন সাড়া দিচ্ছে না পদপ্রত্যাশী ও পদবঞ্চিতরা। সে কারণে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের আচারণে বিরক্ত হাইকমান্ড। ছাত্রদল সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ফজলুর রহমান খোকনকে সভাপতি  ও ইকবাল হোসেন শ্যামলকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দেয় দলটি। তাদের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। পরে তদন্তে প্রমাণিত হয় দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা ওই পদ বাণিজ্যের সাথে যুক্ত ছিল।

২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি যুবদলের কমিটি ঘোষণাকে ঘিরে পদ বাণিজ্যের সংবাদ চাউর হলে কমিটি স্থগিত করে বিএনপি। সেই থেকে এখন পর্যন্ত যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি দলটি। এছাড়া মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, জাসাস, মৎস্যজীবী দল, তাঁতী দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, ওলামা দল ও মুক্তিযোদ্ধা দলে একই সমস্যা বিদ্যমান। ফলে দলের সিনিয়র নেতারা এই সব অঙ্গ সংগঠনেরে ওপর আস্থা রাখতে না পেরে চরম বিরক্তি প্রকাশ করেছেন

বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে একটি শক্তিশালী অবস্থান সৃষ্টি করতে হলে অবশ্যই অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে হবে। আর পদ বাণিজ্য বন্ধ করার পাশাপাশি যোগ্য নেতৃত্বকে সামনে আনতে হবে। সব অংঙ্গ সংগঠনকে চাঙা করে রাজপথে আন্দোলনে নামতে হবে। নতুবা বিএনপির সামনের দিনগুলো আরো ভয়াবহ হতে পারে।
(তথ্য সূত্র:সমকাল)

দিনবদলবিডি/Rabiul

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়