সাংবাদিকের প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র: যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের দ্বিচারিতা!
নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
- তারাই আবার মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে।
- যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট বা মার্কিন পররাষ্ট্র দফতররের এমন দ্বিচারিতায় ক্ষুব্ধ আন্তর্জাতিক মহল।
- এ ঘটনায় এখনই কোনো বিবৃতি দিচ্ছে না স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
- প্রশ্ন শেষ না করেই বিদায় নেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক এই মুখপাত্র।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আর গোলাগুলি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। মানবাধিকার লঙ্ঘনও হরহামেশাই ঘটছে। অথচ তারাই আবার মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে। এ যেন দেশটির ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রতোভাবে জড়িত। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট বা মার্কিন পররাষ্ট্র দফতররের এমন দ্বিচারিতায় ক্ষুব্ধ আন্তর্জাতিক মহল।
গেল মার্চ মাসে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট। তবে প্রতিবেদনটি ছিল একপেশে। কেননা পক্ষপাতদুষ্ট সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতেই করা হয় ওই প্রতিবেদন।
দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশ নিয়ে কথা বললেও বরাবরের মতোই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ নিয়ে নীরব রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলি সেনারা নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালালেও নেই কোনো ধরনের ভূমিকা। মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়েও দেয়নি কোনো বিবৃতি। এমনকি এবারের রমজান মাসের শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের আল-আকসা মসজিদে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি পুলিশ, সে ব্যাপারেও চুপ রয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রটি।
আল-আকসা মসজিদে ইসরালিদের হামলা নিয়ে গত ৮ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবিকে প্রশ্ন করেছেন কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার একজন সাংবাদিক।
ওই সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে জন কিরবি বলেন, নামাজরত কিংবা ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলায় আমরা উদ্বিগ্ন। তবে এ ঘটনায় এখনই কোনো বিবৃতি দিচ্ছে না স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
এরপরই সাংবাদিক প্রশ্ন তোলেন তাহলে কি হোয়াইট হাউসই ইসরায়েলিদের পক্ষ নিচ্ছে? আপনি মুসলিমদের ওপর হামলাকারী ইসরায়েলি বাহিনীকে দোষী ভাবছেন না কেন? জবাবে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা যেটা ভাবছি তা হলো নিরাপত্তা। আমরাও চাই শান্তিপূর্ণ ইবাদত হোক। একপর্যায়ে প্রশ্ন শেষ না করেই বিদায় নেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক এই মুখপাত্র।
সমালোচকরা বলছেন, কোনো দেশে সামান্য কিছু হলেই মানবাধিকার নিয়ে বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট। তবে দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিনে ভূমি দখল ও মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী; সে ব্যাপারে তাদের কোনো বিবৃতি পাওয়া যায় না। অথচ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নিজেদের সঙ্গে কোনো দেশের সম্পর্কের অবনতি হলেই মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে হস্তক্ষেপ করে। কিন্তু ইসরায়েলি বর্বরতা বা মিত্রদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে চুপ থাকে দেশটি। আর এমন দ্বিচারিতা মার্কিন রাষ্ট্রটির বেশ পুরোনো অভ্যাস বলেও মনে করেন তারা।
দিনবদলবিডি/Mamun