সরকারকে যারা জ্ঞান দেয়, তারা এখন কোথায়, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন থেকে এসে মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে ওখানকার ডিসি, সেনাবাহিনীর জিওসি ও সিলেট সিটির বিএনপির মেয়র অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিএনপির মেয়রও প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, তাদের সবার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সহযোগিতা করছেন পথ দেখিয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মেয়রের কাছে প্রধানমন্ত্রী জানতে চেয়েছিলেন, বন্যার্তদের জন্য তার দল কী করেছে? মেয়র সাহেব কোনো উত্তর দিতে পারেননি। বিএনপির নেতারা ঢাকায় বসে বাকবাকুম বাকবাকুম করছেন। তারা জানেন না সিলেট-সুনামগঞ্জসহ ওই এলাকার কী অবস্থা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট অঞ্চলে হঠাৎ করে বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হওয়ায় বন্যা দেখা দিয়েছে। ১২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং দলীয় নেতাকর্মীরা সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে আছেন। বিজিবি, পুলিশ, আনসার নিয়ে তারা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং এখনও আছেন।’
বন্যাদুর্গত এলাকা ঘুরে এসে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ঢাকায় বসে যারা সরকারকে জ্ঞান দেয় তাদের দুর্গত এলাকায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা এখন কোথায়? বন্যার্ত মানুষ জানতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘সিলেটে মন্ত্রী, এমপিসহ সবাই আছেন। পরিকল্পনামন্ত্রীর করোনা, তিনি হয়তো বাসায় বা হাসপাতালে আছেন। বাকিরা বন্যার্তদের পাশে আছেন। বিএনপি নেতারা তো এগুলো দেখতে পান না।’
‘বন্যার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী’ বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘১২২ মিলিমিটার বৃষ্টির জন্য কি প্রধানমন্ত্রী দায়ী। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, দুর্গতদের সব সময় সতর্ক থাকার জন্য। আরো বন্যা হতে পারে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ওই অঞ্চলের নদীগুলো ভরাট হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী এগুলো ড্রেজিং করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।’
কিছু সাংবাদিক নামধারী ব্যক্তি বন্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে জানিয়ে মূল ধারার সাংবাদিকদের তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ড. হাছান মাহমুদ।
এ সময় সাংবাদিকরা বলেন, প্রেস কাউন্সিল আইনে অপসাংবাদিকতার বিষয়ে বলা আছে। এ আইন হলে এ ধরনের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা। তখন মন্ত্রী বলেন, ‘এই আইনের প্রক্রিয়া অনেক দূরে। কাজেই এটি নিয়ে এখনই কোনো কথা বলা যাবে না।’
দিনবদলবিডি/এইচএআর