৭ মার্চের ভাষণ বিকৃতি: অব্যাহতি পেলেন ড. ইমতিয়াজ!

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:৫৫, বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৩, ২৯ চৈত্র ১৪৩০
ড. ইমতিয়াজ আহমেদ

ড. ইমতিয়াজ আহমেদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ-এর পরিচালক পদ থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ১১ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের লেখা ‘হিস্টোরাইজিং ১৯৭১ জেনোসাইড: স্টেট ভার্সেস পারসন’ বইয়ে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ ওঠে। এরপর বিভিন্ন মহল থেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি ওঠে। এর প্রেক্ষিতে ২ এপ্রিল ড. ইমতিয়াজকে দ্রুত অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

মানববন্ধনে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ও ‘সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ’-এর পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের লেখা ‘হিস্টোরাইজিং ১৯৭১ জেনোসাইড: স্টেট ভার্সেস পারসন’ নামের বইয়ের ৪০ পৃষ্ঠায় তিনি লিখেছেন— ‘‘১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিজে হাজির হয়ে বঙ্গবন্ধুকে ‘জয় পাকিস্তান’ বলতে শুনেছেন। এই বইয়ের অধ্যাপক ইমতিয়াজ বোঝাতে চেয়েছেন— বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা চাননি। তার উল্লিখিত পুস্তকে এমন কথাও লিখেছেন, যার অর্থ দাঁড়ায় এই যে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যা ঘটেছে, তা ১৯৪৮ সালের ‘জেনোসাইড কনভেনশনের’ আওতায় পড়ে না। জেনোসাইড কনভেনশনের সংজ্ঞাভুক্ত হতে হলে একটি মানবগোষ্ঠী কর্তৃক অন্য এক মানবগোষ্ঠীকে আক্রমণ করতে হয়।’’

মানববন্ধনে উল্লেখ করা হয়, অধ্যাপক ইমতিয়াজ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি চরম অবমাননা করে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘একটি মৌলিক প্রশ্ন হলো, আসলেই কি ৩০ লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছিল, নাকি মৃতের সংখ্যা কম ছিল?’ তার এমন দুঃসাহসিক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ লেখনীর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে 'বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।'

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, ‘অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ যে অপরাধ করেছেন, সেটা অমার্জনীয়। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অধ্যাপক ইমতিয়াজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধকে চরমভাবে অবমাননা করেছেন। তার জায়গা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে পারে না।

এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটি ১১ এপ্রিল তাদের তদন্তের প্রতিবেদন ভিসির কাছে জমা দেয়। এরপর ইমতিয়াজ আহমেদকে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়