নতুন বছর ১৪৩০ বরণ করছে বাঙালি

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:১৫, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩, ১ বৈশাখ ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

কুপমন্ডুকতা, অনাচারের, জীর্ণতার বিপরীতে শুভ্র আলোয় মুক্তির বারতা নিয়ে এসেছে ১৪৩০। মঙ্গলধ্বনিতে রমনা বটমুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে ছায়ানট। বাংলার নানা অঙ্গের গান আর সুরের মুর্ছনা বিভোর করেছে সকলকে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণীর দর্শকশ্রোতা যোগ দিয়েছেন প্রাণের উৎসবে।

১৪৩০ বঙ্গাব্দের বৈশাখের প্রথম সূর্যোদয়। রুপোলী আলোর ঝিলিকে সকাল সোয়া ৬টায় রাগ রমনার বটমূলে রাগ-সঙ্গীতের সুরে নতুন বছর বরণ করছে বাঙালি।

পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। এ দিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। একক গান, কবিতা, সম্মিলিত কন্ঠে পরিবেশন করা হয় রবীন্দ্র, নজরুল ও লোকগান।


বর্ষবরণে আগতরা জানান, এসব অনুষ্ঠানে আসলে বোঝা যায় বাংলাদেশ আসলে একটা অসাম্প্রদায়িক দেশ। এতো সুন্দর, এতো বৈচিত্র, এতো রঙিন এরকম একটা দিন আমরা বাঙালিরা ধারণ করেছি। সবাইকে শুভ নববর্ষ।

শিশু তরুণ পৌঢ় সব বয়সীরা যোগ দিয়েছেন এই প্রাণের উৎসবে। বাংলা গানের সুর ছন্দে মাতোয়ারা বিদেশী দর্শকরাও।  

সাম্প্রদায়িক অপশক্তির চোখ রাঙানি থাকলেও, সংস্কৃতি চর্চায় কখনো পিছপা হয়না বাঙানি, এমনটাই বললেন বিশিষ্টজনেরা।

সাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, “বাঁধা যে আছে এটা গোপন করার কিছু নাই, কেননা এই রমনা বটমূলে তো বোমা হামলা হয়েছে। আজকে মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কিন্তু আমি বলি যে আসলে আমরা ঐক্যের সূত্র খুঁজি, মিলনের সূত্র খুঁজি। এতো বিভেদের সূত্র কেন খুঁজছি।”

নিরাপত্তার চাদরে ঘেরা রমনা প্রাঙ্গনে শ্রোতা দর্শনাথীর উপচে পড়া ভিড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্ড়ে বাড়তে থাকে জনসমাগম।

১৩৭৪ বঙ্গাব্দ থেকে প্রতিবছর ছায়ানট আয়োজন করে থাকে এই উৎসবের। আয়োজকরা বলছেন কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তি বা অপশক্তি রোধ করতে পারবেনা শুদ্ধসুরের এই চর্চা।

দিনবদলবিডি/Anamul

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়