উন্নয়ন-মেগা প্রকল্পেই নয়, সংকটেও বাংলাদেশের পাশে থাকতে চায় চীন

নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:৫৭, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৩, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

  • চলমান সব সংকটেই পাশে থাকতে ইচ্ছুক বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এই রাষ্ট্র।
  • কাঙ্ক্ষিত সেই বৈঠকে ঢাকায় নবনিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও উয়েন ও তার টিমও ছিলেন।

বরাবরের মতোই বাংলাদেশের পাশে থাকতে চায় চীন। কেবল অবকাঠামো উন্নয়ন আর মেগা প্রকল্পেই নয়; চলমান সব সংকটেই পাশে থাকতে ইচ্ছুক বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এই রাষ্ট্র। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনায়ও আগ্রহী দেশটি। সম্প্রতি ঢাকা সফরে এসে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন চীনের বিশেষ দূত দেং শিজুন।

তথ্যমতে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ঢাকা সফরে আসেন দেং শিজুন। ঢাকায় এসেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। কাঙ্ক্ষিত সেই বৈঠকে ঢাকায় নবনিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও উয়েন ও তার টিমও ছিলেন।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ড. মোমেনের সঙ্গে শিজুনের সেই বৈঠকে বিশেষ আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন। একই সঙ্গে বেইজিংয়ের দিকে থেকে রোহিঙ্গা সমাধানে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দেয়া হয়। তবে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে জোর দেন চীনের এই বিশেষ দূত। প্রত্যাবাসন শুরু করতে রোহিঙ্গাদের রাজি করাতে একাধিক প্রতিনিধিদলকে কক্সবাজার পাঠানোর প্রস্তাবও দেয়া হয়। এছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়াও যেকোনো ধরনের সহযোগিতায় বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য চীন প্রস্তুত রয়েছে বলেও আশ্বাস দেন দেং শিজুন।

চীনের এই বিশেষ দূত জানান, সর্বতোভাবে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে প্রেসিডেন্ট শি জিং পিংয়ের নেতৃত্বাধীন সরকার। বেইজিংয়ের মধ্যস্থতায় ত্রিদেশীয় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। 

তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্বের অবস্থানের ঠিক বিপরীতে রয়েছে চীন। বেইজিং মনে করে মিয়ানমার নিজেদের বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে যখনই নিতে রাজি হবে তখনই ফেরত পাঠানো উচিত। এখানে নিরাপত্তা ছাড়া অন্য কোনো ইস্যুতে কারো বাগড়া বা শর্ত জুড়ে দেয়া উচিত নয় বলে জানিয়েছেন চীনের বিশেষ দূত।

দিনবদলবিডি/Rakib

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়