গরমে আদালতের ড্রেসকোড পরিবর্তনের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন

নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:৩৪, বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৩, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) ই-মেইলে আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির, ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের পক্ষে আইনজীবী মো. কাউছার ও আইনজীবী বায়েজীদ হোসাইন  সকল আইনজীবী ও বিচারকদের জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ মূলত একটি গ্রীষ্মকাল প্রধান দেশ। বছরের প্রায় ৮ মাস উচ্চ তাপমাত্রা থাকে। বাংলাদেশে আইনজীবীদের আদালতে পরিধানের জন্য সিভিল রুলস অ্যান্ড অর্ডারস, ক্রিমিনাল রুলস অ্যান্ড অর্ডারস, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রুলস ১৯৭৩ এবং আপিল বিভাগের রুলস ১৯৮৮তে শীত এবং গ্রীষ্মকালে একই ধরনের পোশাক পরিধানের কথা বলা হয়েছে। 

বর্তমানে প্রচলিত আইনজীবীদের পোশাকটি মূলত ব্রিটিশ ভাবধারা এবং আবহাওয়া বিবেচনায় নির্ধারণ করা হয়েছিল। কালের বিবর্তে আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন হওয়ায় বর্তমানে বাংলাদেশ একটি গ্রীষ্ম প্রধান দেশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। কিন্তু আইনজীবীদের কল্যাণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবিবেচনায় পোশাকের কোন পরিবর্তন করা হয়নি।

ফলে সারাদেশের হাজার হাজার আইনজীবী প্রতি বছরের মার্চ মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত উচ্চমাত্রার গরম আবহাওয়ার কারণে নিদারুণ, অসহনীয়, অবর্ণনীয়, শারীরিক এবং মানসিক কষ্ট সহ্য করে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে লাখো লাখো বিচারপ্রার্থীকে আইনি সেবা দিয়ে আসছেন। একই সঙ্গে নিম্ন এবং উচ্চ আদালতের বিচারকগণ একই ধরনের পোশাক পরিধান করায় অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করে যাচ্ছেন। অতিরিক্ত গরমে নিয়ম অনুযায়ী কালো কোট, গাউন, কলার, ব্যান্ড বা টাই পরিধানের কারণে প্রতিবছর বহু সংখ্যক আইনজীবী হিট স্ট্রোকে মৃত্যু এবং অনেক আইনজীবী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তীব্র গরম এবং তাপদাহের কারণে অনেক বয়স্ক আইনজীবী আদালতে যেতে পারেন না। ফলে অনেক আইনজীবী পেশাগত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। 

আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এর আগে করোনা মহামারীর সময়ে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা মোতাবেক ড্রেস কোড পরিবর্তন করা হয়েছিল এবং তাতে আদালতের বিচারকার্য বা আইনজীবীদের পেশাগত কোনো অসুবিধা হয়নি।

দিনবদলবিডি/Jannat

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়