ঈদের ছুটি শুরু, অপরাধ ঠেকাতে প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:৪৭, বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৩, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

শুরু হয়েছে ঈদুল ফিতরের ছুটি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ করতে বেশিরভাগ মানুষ ছুটছেন গ্রামে। রাজধানী ঢাকা এরই মধ্যে ফাঁকা হতে শুরু করেছে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চিরাচরিত যানজট না থাকলে ও বাস টার্মিনাল এবং ট্রেন স্টেশনে ঘরমুখী মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে। ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তায় এরই মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বেশ কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যেকোনও নাশকতা এবং হামলা মোকাবিলায় র‌্যাবের স্পেশাল ফোর্স কমান্ডো টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাবের হেলিকপ্টার সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ভার্চুয়াল জগতে যেকোনও গুজব এবং উস্কানিমূলক তথ্য প্রতিরোধেও প্রয়োজনীয় সাইবার মনিটরিং জোরদার রাখা হয়েছে।

র‌্যাব বলছে, গোয়েন্দা তথ্য সাইবার মনিটরিংসহ বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে কোনও ধরনের জঙ্গি হামলার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। সাইবার জগতে মনিটরিং বৃদ্ধির মাধ্যমে জঙ্গিদের যেকোনও ধরনের নাশকতা পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিতে প্রস্তুত রয়েছে কর্মকর্তারা।

সম্প্রতি দেশব্যাপী আগুনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণে ঈদের ছুটি কেন্দ্র করে বিশেষ নজরদারি রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। ঈদের ছুটিতে বাসা বাড়ি এবং মার্কেট ফাঁকা থাকার কারণে কোথাও কেউ যেন কোনও ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সুযোগ না পায় সে ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এরই মধ্যে পুলিশ সদর দফতর থেকে দেশের প্রতিটি মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ এবং প্রতিটি থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট এরিয়ায় মার্কেট এবং বাসা বাড়ির নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ নজরদারি রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাজধানীসহ সারা দেশে ঈদের ছুটিতে যাওয়া মানুষের বাসস্থান, কর্মস্থল, শপিংমলে চুরি ও ডাকাতি প্রতিরোধে বিশেষ নজরদারি ও টহল বাড়ানো হয়েছে।

বিশেষ করে ফাঁকা ঢাকায় দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে যায় এমন বিষয়টি সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট পরিচালনা করবে। বেপরোয়া গতির গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কেউ কোনও ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া, ফাঁকা ঢাকার বিভিন্ন সড়কে ছিনতাই প্রতিরোধেও বিশেষ টহল পরিচালনা করা হচ্ছে। অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ছাড়াও বাস স্ট্যান্ড, রেল স্টেশন, লঞ্চঘাট এবং বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সড়কের যানবাহন থামিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িত থাকলে নেওয়া হবে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা। অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে বাস, ট্রেন বা লঞ্চে না ওঠার পরামর্শ দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সড়ক পথে হাইওয়েতে বাসগুলো যেন রাস্তায় যাত্রী উঠাতে না পারে সে ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাইওয়েতে যেন যানজটের সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারেও মাঠে থাকা পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, ঈদের আগে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় মার্কেটগুলোতে কেউ যেন কোনও ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ শপিং মল, বিপণী বিতান ও জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় স্ট্যাটিক টহল এবং গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যাতে করে সাধারণ জনগণ উৎসব মুখর পরিবেশে এবং নিরাপদে কেনাকাটা শেষে বাড়ি ফিরতে পারে। এছাড়া ঈদের ছুটিতে বিনোদন কেন্দ্র, পার্ক, চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়ে কেউ যেন কোনও ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে প্রতিরোধমূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সব মেট্রোপলিটন শহর, জেলা শহর এবং উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ঢোকার মুখে চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মইন বলেন, ‘যেকোনও উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত রিজার্ভস মোতায়েন থাকবে। ঈদের জামাতসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর নিরাপত্তায় সিসিটিভি কাভারেজের মাধ্যমে নজরদারি রাখা হবে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহ এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুইপিং পরিচালনার পাশাপাশি র‌্যাবের বোম ডিজপোজাল ইউনিট যেকোনও উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে।’

সূত্র - বাংলাট্রিবিউন

দিনবদলবিডি/Anamul

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়