বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ প্রধান শিক্ষকের

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:০৯, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

বরগুনার পাথরঘাটার একটি বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ. জব্বার খানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার স্কুল কমিটি বৈঠক করে প্রধান শিক্ষককে বহিষ্কার করেন।

এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়ার পরে স্কুল কমিটি বৈঠক করে। গত রোববার ছাত্রীর বাবা স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পাথরঘাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন আকনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

পরে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুফল চন্দ্র গোলদারের কাছে জবানবন্দি দেন। 

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুফল চন্দ্র গোলদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করছেন। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

মেয়ের বাবা জানান, প্রাইমারি স্কুল পাশ কারার পর আমার মেয়েকে ওই বিদ্যালয়ে ভর্তি করেছিলাম। নবম শ্রেণিতে ওঠার পর ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আ. জব্বার নানা কৌশলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে আমার মেয়ের সঙ্গে। পরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন। গত ১৩ মার্চ শিক্ষা সফরের কথা বলে আমার মেয়েকে বরিশালে নিয়ে দোয়েল আবাসিক হোটেলে রাতযাপনও করেন তারা। বরিশাল থেকে ফেরার পর মেয়ের শারীরিক অসুস্থতা দেখে তার কাছে জানতে চাইলে মেয়ে সব ঘটনা খুলে বলে। মানসম্মান রক্ষায় প্রধান শিক্ষক আ. জব্বারকে আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি অস্বীকৃতি জানান। পরে এ ব্যাপারে সব ঘটনা জানিয়ে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে বিচার চেয়ে দরখাস্ত করেছি।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুফল চন্দ্র গোলদার জানান, ঘটনা সত্য। ভিকটিম মঙ্গলবার সব প্রমাণাদি আমার কাছে জবানবন্দিতে উপস্থাপন করেছে। শিক্ষার্থীর (ছাত্রী) বয়স কম হওয়ায় আইনগতভাবে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়নি। তবে শারীরিক ও মানসিক দিক দেখিয়ে গত ১৯ মার্চ আমার কাছে বিয়ের অনুমতি নিতে আসছিল প্রধান শিক্ষক ও তার ছাত্রী। আমি তাদের অনুমতি দেইনি। বিষয়টি বরগুনা জেলা প্রশাসককে অবহিত করে স্কুল কমিটির সভাপতিকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

স্কুলের সভাপতি ও পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন জানান, আমরা এ বিষয়ে স্কুল কমিটিসহ সব শিক্ষকদের নিয়ে জরুরি সভা করে প্রধান শিক্ষককে বহিষ্কার করেছি।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের মোবাইলে কথা বলতে ফোন করা হলে তিনি মোবাইলটি রিসিভ করে তার সহকারী শিক্ষক মো. আলামিন ফোরকানকে ধরিয়ে দেন। ফোরকান বলেন, স্যার লজ্জায় আপনার সঙ্গে কথা বলবেন না।

এদিকে এ বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করায় শিক্ষক সমাজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে দাবি করে পাথরঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি তরিকুল ইসলাম রেজা আনোয়ার হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

দিনবদলবিডি/Jitu

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়