রবিবার এসএসসি পরীক্ষা শুরু

প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ, নজরদারিতে শিক্ষকরাও

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ১১:০৬, শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা কাল রোববার থেকে শুরু হচ্ছে। এ বছর পৌনে ২১ লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। প্রতিবারই পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় বিষফোড়া হয়ে উঠে।  এবারের এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডগুলো।

বিশেষ করে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো নজরদারিতে থাকছে। শিক্ষকরা প্রশ্নফাঁস না করতে পারেন এ জন্য পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরাও নজরদারিতে থাকছেন। এ সময়ে দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।

শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকরা বলছেন, যে পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, সংগ্রহ, ছাপানো হয় তাতে করে প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই। অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল প্যাকেটে প্রশ্নপত্র ট্রেজারিতে পাঠানো হয়। এরপর সচিব, ট্যাগ অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রে পাঠানো হয়। তবে একটি চক্র প্রশ্নফাঁসের কথা বলে ফেসবুকসহ সামাজিকমাধ্যমে গুজব ছড়ায়। এ বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সামাজিক মাধ্যমগুলোকে নজরদারিতে রাখছে।

জানা গেছে, প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে ইতিমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় একাধিক বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। সব জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও সব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে মনিটরিং করতে বলা হয়েছে। ডিসি এবং ইউএনওরা বিষয়টি বিশেষভাবে দেখছেন। খুলনা জেলার একজন ইউএনও বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশ্নের সিকিউরিটি নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নেওয়া পদক্ষেপের মধ্যে ১ মাস বন্ধ রাখা হবে কোচিং সেন্টার। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন নজরদারিতে রাখার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়েছে। এবার পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হবে এবং শেষ হবে দুপুর ১টায়। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী বিলম্বে কেন্দ্রে উপস্থিত হলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে। কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। ট্রেজারি-থানা হতে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীগণ কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং প্রশ্নপত্র বহন কাজে কালো কাচযুক্ত মাইক্রোবাস বা এরূপ কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না। প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ প্রদান করা হবে। ট্যাগ অফিসার ট্রেজারি, থানা হেফাজত থেকে কেন্দ্র সচিবসহ প্রশ্নপত্র বের করে পুলিশ প্রহরায় সব সেটের প্রশ্ন কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন।

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়