ধর্ষণের শিকার হচ্ছে মৃতদেহ, কবরে তালা দিয়ে পাহারা দিচ্ছেন বাবা-মা

আন্তর্জাতিক সংবাদ || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:০১, রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

পাকিস্তানে নেক্রোফিলিয়া বা মৃতদেহের প্রতি জঘন্য ও বিকৃত রুচির যৌন আসক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে মৃত্যুর পর মেয়েদের কবরে তালা দিয়ে পাহারা দিচ্ছেন মৃতদের মা এবং বাবা।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম ডেইলি টাইমস এর এক প্রতিবেদন সূত্রে এমন তথ্য প্রকাশ করে।

প্রকাশিত এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানে নেক্রোফিলিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

নারীদের কবরে তালা লাগানোর হৃদয় বিদারক দৃশ্য সমগ্র সমাজের লজ্জায় মাথা নত করার জন্য যথেষ্ট বলেও উল্লেখ করা হয়।

এছাড়াও প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে প্রতি দু’ঘণ্টায় একজন করে নারী ধর্ষণ হচ্ছে।

এক নাস্তিক ‘দ্য কার্স অফ গড, হোয়াই আই লেফ্ট ইসলাম’ বইয়ের লেখক হারিস সুলতান এই ধরনের হীন কাজের জন্য কট্টরপন্থী ইসলামী মতাদর্শকে দায়ী করছেন।

সুলতান এক টুইট পোস্টে বলেন, পাকিস্তান এমন একটি পশুত্ব ও যৌন আসক্ত সমাজ তৈরি করেছে, যেখানে মায়েরা এখন তাদের মেয়েদের কবরে তালা লাগাচ্ছে, যাতে মেয়েদের দেহ ধর্ষিত না হয়।

আরেক টুইটার ব্যবহারকারী সাজিদ ইউসুফ শাহ লিখেছেন, পাকিস্তানের তৈরি সামাজিক পরিবেশ একটি যৌন অভিযুক্ত এবং পশুত্ব সমাজের জন্ম দিয়েছে। যেখানে কিছু লোক তাদের মেয়ের কবরে তালা লাগিয়েছে, তাদের যৌন সহিংসতা থেকে রক্ষা করার জন্য।

২০১১ সালে করাচির উত্তর নাজিমাবাদ অঞ্চলে এক নেক্রোফিলিয়া মামলার রিপোর্টে দেখা যায়, রিজওয়ান নামের এক কবর পাহারাদার ৪৮ নারীর মৃতদেহকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। পরে থাকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও একাধিকবার নারীদের দেহ কবর থেকে উঠানো হয় এবং ধর্ষণ করা হয় বলেও জানা যায়।

ন্যাশনাল কমিশন ফর হিউম্যান রাইটসের মতে, পাকিস্তানের ৪০ শতাংশেরও বেশি নারী তাদের জীবনে অন্তত একবার কোনো না কোনো সহিংসতার শিকার হয়েছেন।

দিনবদলবিডি/Jannat

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়