মাথাচাড়া দিচ্ছে বিশ্বাসঘাতকরা, আওয়ামী লীগের বিশেষ নজরদারি
নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
- অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকায় বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন অনেকেই।
- সবচেয়ে কম বিদ্রোহের মধ্যে পড়েছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।
- খুলনায় তুলনামূলক বিদ্রোহ কম থাকায় তালুকদার আব্দুল খালেক বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে রয়েছেন।
রাজনীতির মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে পাঁচ সিটি নির্বাচন। ভোট নিয়ে ব্যস্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নানান প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন প্রার্থীরা। তবে অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকায় বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন অনেকেই। এমনকি দলীয় প্রার্থীকে দুর্বল করার জন্য গোপনেও কাজ করছেন কেউ কেউ। সিটি নির্বাচনে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা এমন বিশ্বাসঘাতকদের বিশেষ নজরদারিতে রেখেছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড।
সূত্রমতে, জাতীয় নির্বাচনের আগে হওয়া পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে 'অ্যাসিড টেস্ট' হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ। কেননা সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের জনপ্রিয়তা ফের যাচাই করতে চান ক্ষমতাসীনরা। তবে এই চ্যালেঞ্জে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন দলের সিদ্ধান্ত অমান্যকারীরা।
এবার প্রায় পাঁচ সিটিতেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। তবে সবচেয়ে কম বিদ্রোহের মধ্যে পড়েছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। কিন্তু প্রকাশ্যে না হলেও গোপনে তার বিরুদ্ধেও অপতৎপরতা চালাচ্ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ। সাম্প্রতিক একাধিক বক্তব্যে খায়রুজ্জামান লিটন নিজেই এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। অভ্যন্তরীণ শত্রুদের চিহ্নিত করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিদ্রোহের বিষয়টি এখন প্রকাশ্যে। এখানে দলের প্রার্থী আজমত উল্লাহর হয়ে কাজ করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম। ফলে জাহাঙ্গীরসহ তার অনুসারীদের নতুন করে বহিষ্কারাদেশের আওতায় আনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া বরিশালে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের বিরুদ্ধে সাদিক আবদুল্লাহ কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন বিরোধিতা শেষ পর্যন্ত চলতে থাকলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র। তবে খুলনায় তুলনামূলক বিদ্রোহ কম থাকায় তালুকদার আব্দুল খালেক বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের কর্মকাণ্ড নজরদারিতে রয়েছে। এরই মধ্যে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে হুঁশিয়ারি সংকেত দেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, বিগত নির্বাচনে যারা দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এবার আর ক্ষমা নেই। নির্বাচনের আগেই দলের ভেতর এমন বিশ্বাসঘাতকদের দমন করা হবে, যেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
দিনবদলবিডি/Rakib