কঙ্গোতে ভারী বর্ষণের পর বন্যা, অন্তত ১৭৬ নিহত

আন্তর্জাতিক সংবাদ || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ১০:৪০, শনিবার, ৬ মে, ২০২৩, ২৩ বৈশাখ ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ১৭৬ জন নিহত হয়েছেন। ভারী বর্ষণের পর নদীর পানি দু’কূল ছাপিয়ে লোকালয়ে প্রবেশের জেরে আফ্রিকার এই দেশটির পূর্বাঞ্চলে সৃষ্ট এই বন্যায় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। -আল জাজিরা

কঙ্গোর আঞ্চলিক এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শনিবার (৫ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১৭৬ জন নিহত হয়েছেন বলে একজন আঞ্চলিক কর্মকর্তা বলেছেন। সাউথ কিভু প্রদেশের প্রাদেশিক সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রদেশটিতে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার সেখানকার একটি নদীর পানি উপচে পড়ে এবং বুশুশু ও নিয়ামুকুবি গ্রামে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটায়।

সাউথ কিভুর গভর্নর থিও এনগওয়াবিদজে কাসি বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৭৬ বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, বন্যায় অন্যান্য লোক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তবে স্থানীয় নাগরিক সমাজের সদস্য কাসোল মার্টিন বলেছেন, সেখানে ২২৭টি মরদেহ পাওয়া গেছে।

মার্টিন বলেন, ‘মানুষ খোলা জায়গায় ঘুমাচ্ছে। স্কুল এবং হাসপাতাল বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।’ আল জাজিরা বলছে, সাউথ কিভু প্রদেশে বন্যা এবং ভূমিধস অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। ২০১৪ সালের অক্টোবরে সেখানে এমন বিধ্বংসী বন্যার ঘটনা ঘটেছিল। সেসময় কঙ্গোর এই অঞ্চলটিতে সাত শতাধিক বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যায়।

জাতিসংঘের মতে, সেসময় ১৩০ জনেরও বেশি লোক নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ভারী বর্ষণ ও বন্যার কারণে আফ্রিকার এই দেশটির অন্যান্য অঞ্চলেও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। গত মাসে নর্থ কিভু প্রদেশে ভূমিধসের একদিন পর অন্তত ২১ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় বৃষ্টির কারণে অন্তত ১৬৯ জন নিহত হয়েছিলেন। এর আগে, ২০১৯ সালে কিনশাসায় মুষলধারে বর্ষণের কারণে সেখানকার নিম্নাঞ্চলের কিছু জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। ওই সময় বন্যায় অন্তত ৩৯ জনের প্রাণহানি এবং অনেক বাড়িঘর ও সড়ক ধসে যায়।

দিনবদলবিডি/Jannat

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়