গামছা উড়িয়ে থামানো হলো ট্রেন, রক্ষা পেলেন হাজারও যাত্রী
দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
ট্রেন আসতে দেখে গলায় ঝুলানো গামছা উড়িয়ে এবং হৈ চৈ করে স্থানীয় লোকজন চলন্ত ট্রেন থামাতে চালককে সংকেত দেয়। স্থানীয়দের এই ধরনের সংকেত দেখে চালক ট্রেন থামায়। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলো…
ট্রেন আসতে দেখে গলায় ঝুলানো গামছা উড়িয়ে এবং হৈ চৈ করে স্থানীয় লোকজন চলন্ত ট্রেন থামাতে চালককে সংকেত দেয়। স্থানীয়দের এই ধরনের সংকেত দেখে চালক ট্রেন থামায়। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলো ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী ঈদ স্পেশাল ট্রেনের শত শত যাত্রী।
মঙ্গলবার ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের গফরগাঁওয়ের লংগাইর ইউনিয়নের গুলাবাড়ি গ্রামের ১৩৫ নং ফরচুঙ্গির ব্রিজ নামক স্থানে ঘটনাটি ঘটে।
গোলাবাড়ী গ্রামের আজিজুল হক বলেন, হেঁটে ব্রিজ পারাপারের সময় ব্রিজের উপর রেল ভাঙ্গা থাকতে দেখি। এ সময় দুর্ঘটনার হাত থেকে ট্রেনকে রক্ষার জন্য গামছা উড়িয়ে এবং রেলের পাশে কৃষি কাজে ব্যস্ত থাকা ও রাখালরা মিলে ট্রেন থামাতে হৈ চৈ শুরু করলে চালক দেখতে পেয়ে ট্রেন থামান। এতে দুর্ঘটনা থেকে ট্রেনটি রক্ষা পায়।
ট্রেনের সহকারী চালক ইদ্রিস আলী (৪০) বলেন, মানুষের ইশারা দেখে ট্রেন থামাই। যদি ট্রেন না থামানো হতো তাহলে ট্রেনের সবগুলো কামড়াই নদীতে পড়তো এবং অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতো।
তিনি আরো বলেন, সকাল ৯টা ৩০মিনিটে দেওয়ানগঞ্জের উদ্দেশে ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি কমলাপুর থেকে যাত্রা শুরু করে। স্থানীয় মানুষদের সচেতনার জন্য একটি বড় দুর্ঘটনা থেকে ট্রেন যাত্রীরা রক্ষা পেলো।
মশাখালী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আমিনুল ইসলাম বলেন, দুপুর ১২টার দিকে খবর পাই ১৩৫ নং ব্রিজে রেল ভাঙ্গা থাকায় স্থানীয় লোকজন ট্রেন থামিয়ে দেয়। ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মশাখালী রেল স্টেশনে হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকা পড়ে। পরে দুপুর ১টার দিকে ভাঙ্গা রেল মেরামত করা হয়। এরপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দিনবদলবিডি/Rony