রংপুরের হাঁড়িভাঙা: ৩০০ কোটি টাকা বিক্রির আশা

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:০৫, শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

রংপুরের হাঁড়িভাঙা আমের খ্যাতি যেমন, চাহিদাও তেমন তুঙ্গে। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও রফতানি হয়। একসময় বদরগঞ্জ উপজেলায় চাষ হলেও এখন জেলার বিভিন্ন উপজেলায় হয়। এই আম চাষে অনেকের ভাগ্য বদলে গেছে। হয়েছেন স্বাবলম্বী। এরই ধারাবাহিকতায় এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। এ বছর প্রায় ৩০০ কোটি টাকার হাঁড়িভাঙা আম বিক্রির আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

এই জাতের আমের বৈশিষ্ট্য হলো আঁশবিহীন, মিষ্টি ও সুস্বাদু। ছাল খুব পাতলা এবং আঁটি ছোট। প্রতিটির ওজন ১৫০-৩০০ গ্রাম হয়। সাধারণত জুনের তৃতীয় সপ্তাহে এই আম বাজারে আসে। তখন থেকেই সারা দেশ ও বিদেশে পাঠানো হয়।

কয়েকজন বাগান মালিক ও চাষি জানিয়েছেন, এবার আগেভাগেই ঢাকা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ৫০ কোটি টাকার আম পাঠানোর অর্ডার পেয়েছেন। আম পরিপক্ব হতে হতে ১০০ কোটি টাকার অর্ডার পাওয়ার আশা করছেন বাগান মালিক ও চাষিরা।

হাঁড়িভাঙা আমের সবচেয়ে বড় বাগান মালিক এবং ব্যবসায়ী পদাগঞ্জ এলাকার সোলায়মান আলী। তিনি বলেন, ‘ঢাকা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ৫০ কোটি টাকার আম পাঠানোর অর্ডার পেয়েছি আমরা। শতাধিক আড়তদার ও ব্যবসায়ী ইতোমধ্যে অগ্রিম অর্ডার দিয়েছেন। আমিসহ আরও ৬০টি বাগান মালিকের সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়েছে। আগাম অর্ডার ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।’

হাঁড়িভাঙা বাজারজাত করতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পাইকার ও ব্যবসায়ীরা যাতে সরাসরি বাগান থেকে আম কিনতে পারেন, তার সব ব্যবস্থা করা হবে। টাকা লেনদেনের জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের বুথ খোলা হবে। বিশেষ করে আম পরিবহনে যাতে কেউ হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। কুরিয়ার সার্ভিসগুলো পদাগঞ্জ এলাকায় অফিস স্থাপন করবে। আমের জন্য বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থা থাকবে।’

দিনবদলবিডি/Rabiul

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়