গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে সর্বমহলে এত আগ্রহ কেন

নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ রাত ০৮:৫২, মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

  • ভোটের বাকি আর মাত্র একদিন, তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।
  • বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
  • ‘গাজীপুরে উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ ভোট’ হবে বলেও আশাবাদী নির্বাচন কমিশন। 
  • ভোটে এর প্রভাব পড়তে পারে বলেও মনে করছেন অনেকেই।

অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে জমজমাট গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। ভোটের বাকি আর মাত্র একদিন, তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। তবে এবারের সিটি নির্বাচন নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই সর্বমহলে। প্রত্যাশার শেষ নেই তরুণ-তরুণীদেরও। কিন্তু বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এমনকি ‘গাজীপুরে উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ ভোট’ হবে বলেও আশাবাদী নির্বাচন কমিশন। এছাড়া আন্তর্জাতিক মহলেরও গাজীপুর সিটি নির্বাচনে দৃষ্টি থাকবে বলে জানা গেছে।

২৫ মে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গাজীপুর সিটি নির্বাচন। এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে জেতাতে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন দলের নেতারা। ভোটের মাঠে বিরোধী কিংবা অন্য সব দলের শক্ত কোনো প্রার্থী না থাকলেও মায়ের হয়ে নির্বাচনে তৎপর রয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা জাহাঙ্গীর আলম। ভোটে এর প্রভাব পড়তে পারে বলেও মনে করছেন অনেকেই।

কেউ কেউ বলছেন, রাজধানী ঢাকার প্রবেশপথ হলো গাজীপুর। এ জেলায় গড়ে উঠেছে পোশাকসহ বিভিন্ন শিল্প কল-কারখানা। এখানে দেশের বিভিন্ন স্থানের লোকজন কাজ করছেন। এজন্যই গাজীপুর অন্য সব সিটি কর্পোরেশন থেকে আলাদা। নির্বাচন এলে সব ধরনের লোকেরই নজর থাকে এ সিটিতে। তাই নগরপিতা হতে সব দলেরই লড়াই চলে। তবে বরাবরের মতো এগিয়ে রয়েছে আওয়ামী লীগ।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, গাজীপুরবাসীর ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের নির্দেশে আমরা এখানে কাজ করছি। এজন্য জনমত তৈরিকেই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। তবে মাঠের পরিস্থিতি ভালো। জনগণেরও বেশ সাড়া মিলছে। এছাড়া নৌকা বিজয়ী হলে এখানকার বাসিন্দাদের উন্নয়ন হবে; এটা গাজীপুরবাসীও জানে।

এদিকে গাজীপুর সিটি ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, উপমহাদেশে যত ভোট হয়, সেসব ভোটের চেয়ে গাজীপুরের ভোট সর্বশ্রেষ্ঠ হবে। ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া আইনে ইসির যেসব সুযোগ-সুবিধা আগে ছিল, তা এখনও আছে। তাই ভোটে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবে নির্বাচন কমিশন।

দিনবদলবিডি/Rakib

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়