দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:৫৩, বুধবার, ২২ জুন, ২০২২, ৮ আষাঢ় ১৪২৯
 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা একটি প্রকল্প হাতে নেওয়ার আগেই চিন্তা করি- এ প্রকল্প থেকে কী উপার্জন আসবে, মানুষ কতটা উপকৃত হবে। এখন একটা সেতু তৈরি করেছি। আগে সেটা থেকে উপার্জন হোক, তারপর দ্বিতীয়টি চিন্তা করব।’

বুধবার (২২ জুন) বেলা ১১টায় শুরু হওয়া এক সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে এক গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দ্বিতীয় সেতু তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা একটা প্রকল্প হাতে নেওয়ার আগেই চিন্তা করি- এ প্রকল্প থেকে কী উপার্জন আসবে। এখন একটা সেতু তৈরি করেছি আগে সেটা থেকে উপার্জন হোক, তারপর দ্বিতীয়টা চিন্তা করব। আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে। আমি যেটা করতে পারব, সেটাই বলি। যেটা বলি, সেটাই করি। শত বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও সেখান থেকে সরে আসি না। সেটার প্রমাণ আমি দিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এত বেশি ষড়যন্ত্র হয়েছে, তা সত্ত্বেও আমরা সফল হয়েছি। এ মুহূর্তে উপদেষ্টা কমিটিতে যারা ছিলেন, তাদের সবাইকে কৃতজ্ঞতা। বিশেষত ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী- যিনি জীবিত থাকলে হয়তো দেখে যেতে পারতেন পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘পদ্মা সেতুর আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হবে। এ সেতু নির্মাণের জন্য ১৯৯৬ সালে জাপান সরকারকে আমি প্রথম আহ্বান জানাই। ওই সময় রূপসা সেতুর কথাও বলেছিলাম। কিন্তু, পদ্মায় সবচেয়ে বেশি স্রোত ছিল। তাই নদী শাসন করতে জাপান সরকারকে আহ্বান জানাই। কিন্তু, বিএনপি সরকার ক্ষমতা এসে কাজ এগিয়ে না নিয়ে বরং বন্ধ করার জন্য ষড়যন্ত্র করে। এরপর আমরা ক্ষমতায় আসার পর এডিবির অর্থায়নে কাজ করার জন্য চুক্তি করি। কিন্তু, একজন লোক ব্যাংকের এমডি পদের জন্য বিশেষত ষড়যন্ত্র শুরু করে। একপর্যায়ে বিশ্বব্যাংক অর্থ দিতে অস্বীকার করে। দুদক তদন্ত করে কোনো দুর্নীতি অনিয়ম পায়নি। অথচ বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি ওই সময় দেশে এসে বিশেষ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে দুর্নীতির অভিযোগ এনে টাকা দিতে অস্বীকার করেন। আমরা দমে থাকিনি। বার বার ব্যয় বাড়াতে হয়েছে, কারণ নকশা পরিবর্তন করতে হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণে আমরা অনেক টাকা ব্যয় করেছি। কারণ ভূমি মালিকদের তিনগুন টাকা প্রদান করছি। এ ছাড়া ট্রেন চলাচলের জন্য কনক্রিটের পরিবর্তে স্টিলের স্প্যান দিয়ে তৈরি করেছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া এবং জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা- মানুষের সহযোগিতায় পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করতে পেরেছি।’

দিনবদলবিডি/আরএজে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়