শেখ হাসিনা আছেন বলেই পদ্মা সেতু হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ রাত ০৯:১৮, বুধবার, ২২ জুন, ২০২২, ৮ আষাঢ় ১৪২৯
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

একজন শেখ হাসিনা আছেন বলেই পদ্মা সেতু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, সঠিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সঠিক সাহসী নেতৃত্ব যে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে, সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন। আজ বুধবার (২২ জুন) রাজধানীতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পদ্মা সেতুর অবদান’ সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতু নয়, বিশ্ববেনিয়াদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের এবং সবার ওপরে শেখ হাসিনার সক্ষমতার প্রতীক হচ্ছে পদ্মা সেতু। বিশ্বব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিশ্ববেনিয়া, বাংলাদেশে তাদের সুবিধাভোগীরা এবং বিএনপি-জামায়াতসহ আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পদ্মা সেতু নিয়ে যে সমালোচনা-ষড়যন্ত্র করেছিল, সেই জাল ছিন্ন করে, তাদের হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে এরকম একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভবপর হয়েছে।’

ড. হাছান বলেন, যারা ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিল আজকে তাদের কেউ কেউ নিশ্চুপ হয়ে গেছে, ষড়যন্ত্রে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিল তারা নিশ্চুপ। তাদের  খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা দেশে না বিদেশে আমিও জানি না। আর কেউ কেউ সুর বদলেছেন।

বিএনপিকে সেতু উদ্বোধনে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে উল্লেখ তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে মির্জা ফখরুল সাহেব বললেন, এই সেতু কি উনাদের বাপের। আমরা তো বলি নাই এই সেতু কারও বাপের। আরও বলেছেন, এই সেতু দিয়ে কি স্বর্গে যাব। এই সেতু প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের আপামর জনতার জন্য নির্মাণ করেছেন। এই সেতু খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল সাহেবের জন্যও। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে, পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগ সরকার কখনও নির্মাণ করতে পারবে না এবং করলেও জোড়াতালি দিয়ে হবে, কেউ উঠবেন না- এমন কথা যারা বলেছিলেন তাদের এখন সেতুতে ওঠার অধিকার আছে কিনা। আমরা বলছি, আপনারা সানন্দে উঠুন, তবে আগের বক্তব্যের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চান।

এ সময় খরচের খতিয়ান বর্ণনা করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ২০১১ সালে দ্বিতল সেতু নির্মাণ পরিকল্পনায় প্রায় ৩শ’ কোটি ডলারের প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে ১২০ কোটি ডলার বিশ্বব্যাংকের কাছে চাওয়া হয়েছিল। ডলারের বর্তমান মূল্য ৯৩ দশমিক ১৩ টাকা হিসেবে ৩০০ কোটি ডলারের মূল্য ২৮ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০১১ সালে প্রাক্বলিত ব্যয়ের ডলারকে টাকায় রূপান্তর করলে দেখা যায় খরচ একই জায়গায় রয়ে গেছে। অধিকন্তু ষড়যন্ত্রের কারণে ও নিজের টাকায় করতে গিয়ে কয়েক বছর দেরি না হলে এই খরচ আরও কম হতো।

পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করেছেন উল্লেখ করে তুলনামূলক আর্থিক চিত্র তুলে ধরে ড. হাছান বলেন, ১৯১০ থেকে ১৯১৫ সালের মধ্যে নির্মিত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ আজকে নির্মাণ করতে স্বর্ণমূল্য হিসেবে লাগতো ১৭ হাজার ৩৫ কোটি টাকা। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১.৮ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু তার চেয়ে সাড়ে ৩ গুণ বড় অর্থাৎ ৬.১৫ কিলোমিটার। সে হিসাবে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে লাগতো ৫৮ হাজার ৭শ’ ৭৩ কোটি টাকা। আর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ হচ্ছে শুধু রেল সেতু। পদ্মা সেতুর ওপরে চার লেনের সড়ক, নিচে রেল। অর্থাৎ এই সেতু নির্মাণে ১ লাখ হাজার কোটি টাকা লাগার কথা ছিল। সুতরাং আজকে যারা ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাদের বলব, অহেতুক প্রশ্ন তুলবেন না। পদ্মা সেতু নির্মাণে শেখ হাসিনা কমপক্ষে ২০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করেছেন।

দিনবদলবিডি/এইচএআর

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়