চীন-ভারত-রাশিয়া: তিন দেশেই ক্ষুব্ধ বিএনপি

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:১৩, সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

  • প্রথম থেকেই বিরোধীদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা
  • শুধুমাত্র আমেরিকান স্বার্থ উদ্ধার করে ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিল বিএনপি
  • দুই পরাশক্তি ও আঞ্চলিক শক্তির প্রবল বিরোধীতায় পিছু হটেছে যুক্তরাষ্ট্র
  • শুধুমাত্র আমেরিকান স্বার্থ উদ্ধার করে ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিল বিএনপি

দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতোমধ্যে তফসিলও ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এবারের নির্বাচন নিয়ে প্রথম থেকেই যেন বিরোধীদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। যে কারণে আন্দোলনের পালে হাওয়াও দিয়েছিল বিএনপি। তবে দুই পরাশক্তি চীন-রাশিয়া ও আঞ্চলিক শক্তি ভারতের প্রবল বিরোধীতায় পিছু হটেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সম্প্রতি রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বলেন, চীন কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না এবং কারো হস্তক্ষেপ পছন্দও করে না। বাংলাদেশের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত নাক গলালে চীনও বসে থাকবে না। চীনের এই বক্তব্যটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এক ধরণের হুমকি।  

এরপর গত ২৫ নভেম্বর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার মস্কো থেকে বলেছেন, স্বাধীনভাবে বিদেশিদের সহযোগিতা ছাড়াই বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচন করতে সক্ষম। বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এমন আত্মবিশ্বাস আছে রাশিয়ার। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ভিনয় কোয়াত্রা দিল্লির দৃষ্টিভঙ্গি খুবই স্পষ্ট করে বলেছেন, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং বাংলাদেশের মানুষই তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। ভারত নিরপেক্ষ ভূমিকায় আছে। অন্যদেরকেও নিরপেক্ষ থাকার আহবান জানাচ্ছে।”

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে পরাশক্তি চীন-রাশিয়া ও আঞ্চলিক শক্তি ভারতের এমন মনোভাবে ক্ষুদ্ধ বিএনপি এই তিন দেশের তীব্র সমালোচনা করেছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী চীন, রাশিয়া ও ভারতের অবস্থানের সমালোচনা করে বলেন, তাদের অবস্থানে জনগণের আশার প্রতিফলন ঘটেনি। একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সমর্থন দিয়ে তারা বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধুমাত্র আমেরিকান স্বার্থ উদ্ধার করে ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু বাংলাদেশের ভূ- রাজনীতিতে একটি বড় ফ্যক্টর হচ্ছে, চীন ও ভারত। আর তাদের ওপরে রয়েছে পরাশক্তি রাশিয়া। তাই অন্য পরাশক্তিকে ও প্রতিবেশিদের ক্ষেপিয়ে রাজনীতি করার সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল বিএনপির। আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে ভারত ও চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখেই বিএনপিকে অগ্রসর হতে হবে। এটা বিএনপি নেতাদের বুঝা উচিৎ ছিল।

সমালোচকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যাতে বিরাগভাজন না হয়, সে জন্য ফিলিস্তিনের নারী-শিশুকে ইসরায়েলের হত্যার বিষয়ে বিএনপির কোনো ধরনের বক্তব্য ছিল না। আমেরিকার প্রতি এতো নতজানু হয়েও আখেরে হয়তো দলটি লাভবান হবে না। কারণ ফিলিস্তিন ইস্যুতে বাংলাদেশে মার্কিনবিরোধী মনোভাব এখন প্রবল।

দিনবদলবিডি/Rabiul

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়