হাইকোর্টের নির্দেশনা

সপ্তাহে দুদিন সন্তানকে দেখতে পারবেন আমেরিকান বাবা

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:০৮, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

সপ্তাহে দুদিন নিজের তিন বছর বয়সী ছেলে সন্তানকে দেখতে পারবেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক গ্যারিসন লুটেল। মঙ্গলবার এমন নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট।

আদালত আদেশে বলেছে, প্রতি শনি ও মঙ্গলবার শিশুর মা ফারহানা করিম সন্তানকে নিয়ে উত্তরা ক্লাবে আসবেন। সেখানে বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শিশুটি মায়ের তত্ত্বাবধানেই থাকবে। আর সেখানে বাবা গ্যারিসন লুটেল সন্তানের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন।

মঙ্গলবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

আদালতে বাবার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। মায়ের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

আদেশের বিষয়ে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছেন। পরে আদালত এই মর্মে আদেশ দিয়েছেন যে সপ্তাহে দুদিন শনি ও মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাবা তার সন্তানকে দেখতে পাবেন।

‘এ আদেশ শুধু বড় সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। বাবা তার বড় সন্তানকে কাছে পাবেন এই দুদিন। ছোট সন্তানের বয়স অনেক কম হওয়ায় এই শিশুটির ক্ষেত্রে এ আদেশ নয়। আগামী ১৬ জানুয়ারি এ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।’

রিট আবেদন থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ব্যবসায়ী গ্যারিসন লুটেল বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফারহানা করিমকে ২০১৮ সালে বিয়ে করেন। ঢাকার উত্তরায় তাদের বাসা। ফারহানা স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। তিন বছর আগে তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। এরপর চলতি বছরের শুরুর দিকে ফারহানা পুনরায় অন্তঃসত্ত্বা হন। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মা-বোনের কাছে থাকা জরুরি এমন অজুহাতে জুন মাসে ফারহানা করিম হঠাৎ বাংলাদেশে চলে আসেন। দেশে আসার পর তিনি স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। সন্তানদের কথা চিন্তা করে ফারহানাকে নিয়মিত টাকা দিয়ে আসছিলেন সন্তানের বাবা।

তবে অনেক দিন হয়ে গেলেও যোগাযোগ করতে পারছেন না। ফারহানা কোনো আপডেট দিচ্ছেন না। গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে তিনি চেষ্টা করেছেন যোগাযোগ করতে, কিন্তু পারেননি।

অবশেষে অক্টোবর মাসে গ্যারিসন লুটেল বাংলাদেশে আসেন। এখানে এসে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফারহানা দেখা করতে চান না। সন্তানদেরও দেখাতে চান না। এক পর্যায়ে উত্তরা থানার পুলিশ ও গ্যারিসন যে হোটেলে থাকতেন তাদের সহযোগিতায় তিনি ফারহানার বাসায় যান।

বাসায় গিয়ে তারা জানতে পারেন, ফারহানা কানাডিয়ান এক ব্যক্তির সঙ্গে বসবাস করছেন। তিনি কানাডিয়ান ওই ব্যক্তিকে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেন।

এদিকে এক মাস আগে আরেকটি পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছেন ফারহানা। এই পর্যায়ে সন্তানের সাক্ষাৎ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন গ্যারিসন। একইসঙ্গে তিনি পারিবারিক আদালতে মামলা করেন।

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়