রাজনৈতিক বৈরিতা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমনীতি!

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:২০, বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

হঠাৎ করেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই শ্রমনীতি ঘোষণাটি হাস্যকরও বটে। হাস্যকর এই কারণে যে, বিশ্বব্যাপি শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় জাতিসংঘের অধীনে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন বা আইএলও বলে একটি সংস্থা রয়েছে। যারা শ্রমিক অধিকার রক্ষায় কাজ করে থাকে।

আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। তাই ধারণা করা হয়, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে চাইলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গার্মেন্টস শিল্পকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।

তবে বাস্তবতা এতো সহজ নয়। নানান কারণে যুক্তরাষ্ট্র চাইলেই এই অস্ত্রটি ব্যবহার করতে পারে না। কারণ গার্মেন্টস খাত থেকে শুধু বাংলাদেশই লাভবান হয় এমন না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান বছরে কোটি কোটি ডলারের ব্যবসা করে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক দিয়ে।

তাই এই ব্যবসায় টান পড়লে ব্যবসায়ীরাও হয়তো বাউডেন প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র মূলত ব্যবসায়ীদের সরকার  এবং  এই ব্যবসায়ীদের প্রভাব অপরিসীম।

তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে অস্ত্র আরও রয়েছে। সম্প্রতি জো বাইডেন অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে নতুন শ্রমনীতি ঘোষণা করেছে । বলা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী শ্রমিক অধিকার রক্ষা করতেই তারা শ্রমনীতি প্রণয়ন করেছে।

সমালোচকদের ধারণা, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে অবরোধ দিয়ে ঘিরে ফেলার জন্যই নতুন এই শ্রমনীতি চালু করেছে দেশটি।

বিশ্লেষকরা বলছেন,  হঠাৎ করেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই শ্রমনীতি ঘোষণাটি হাস্যকরও বটে। হাস্যকর এই কারণে যে, বিশ্বব্যাপি শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় জাতিসংঘের অধীনে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন বা আইএলও বলে একটি সংস্থা রয়েছে। যারা শ্রমিক অধিকার রক্ষায় কাজ করে থাকে।

কোন রাষ্ট্র জাতিসংঘের সদস্য হওয়া মাত্রই শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় আইএলও নির্ধারিত বিভিন্ন রেজ্যুলেশনে স্বাক্ষর করতে হয় এবং আইএলও অত্যন্ত কঠোরভাবে এসব নজরদারী করে। এর ব্যত্যয় ঘটলে বিভিন্ন দেশ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহির আওতায় আনা হয়।

উল্লেখ করা প্রয়োজন, যে বিগত কয়েক দশক ধরে নাইকি, এডিডাসের মত বিখ্যাত ব্র্যন্ডগুলো বাংলাদেশের গার্মেন্টসগুলো থেকে পণ্য নিয়ে আসছে। তাদের ডেকোরাম অনুযায়ী বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের পরিবেশের প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে। যদি তাই না হতো, তাহলে এইসব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারতো না। যদি তাই না হতো, তাহলে বাংলাদেশকে আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী জবাবদিহি করতে হতো। এসব হয়নি বলেই তারা বছরের পর বছর বাংলাদেশে ব্যবসা করেছে।

কিন্তু হঠাৎ করেই শ্রমিক অধিকারের নাম করে মার্কিন শ্রমনীতি কেন?

গার্মেন্টস শিল্প সংস্লিষ্টরা বলছেন, বেতন বৃদ্ধির জন্য সর্বশেষ যে শ্রমিক আন্দোলন হয়েছে সেটি কোন দীর্ঘদিনের দাবী ছিলো না। এ দাবিটি হঠাৎ করেই সামনে আনা হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। আন্দোলনের নামে বহু কারখানায় আগুন দেয়া হয়েছিলো। অন্তত শ-খানেক কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। যাদের দ্বারা এই কাজ করানো হয়েছে, মূলত তাদের বাঁচানোর জন্যই কাজ করছে মার্কিন শ্রমনীতি। অনেকে অভিযোগ করছেন, হঠাত শ্রমিক আন্দোলনের পেছনে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে। যদি তাই হয় তাহলে একমাত্র শ্রমনীতিই এসব গুপ্তপরদের রক্ষা করতে পারে।

দিনবদলবিডি/Rony

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়