স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, মায়ের প্রশ্নে বেরিয়ে এলো ধর্ষকের নাম

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:১৬, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০২২, ১১ শ্রাবণ ১৪২৯
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের ফুলপুরে (১৩) বছরের এক স্কুলছাত্রীকে ডাক্তার দেখানোর পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, মেয়েটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, কে মেয়েটির এই সর্বনাশ করল? 

ময়মনসিংহের ফুলপুরে (১৩) বছরের এক স্কুলছাত্রীকে ডাক্তার দেখানোর পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, মেয়েটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, কে মেয়েটির এই সর্বনাশ করল? মায়ের এমন জিজ্ঞাসায় বেরিয়ে আসে এক ধর্ষণকারীর নাম।  

অভিযুক্ত হিসেবে মেয়েটি নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির নাম বলে। শেরপুরের নকলা  উপজেলার দরপটি মোজাকান্দায় তার বাড়ি।

তিনি বিবাহিত এবং ফুলপুরে তার শ্বশুরবাড়ি। ওই নাবালিকা জানায়, বাড়িতে কেউ না থাকায় জোরপূর্বভাবে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল ফুলপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ধর্ষিতার মা।  

ভুক্তভোগী পরিবার ও ফুলপুর থানা সূত্রে জানা যায়, মেয়েটির মা গত ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ফুলপুর উপজেলার পয়ারি ইউনিয়নে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নেন।  মেয়েটি স্থানীয় স্কুলে লেখাপড়া করত। নির্বাচনী প্রচারণার কাজে মেয়েটির বাবা ও মা অনেক সময় বাড়ির বাইরে থাকায় এ সুযোগে নজরুল ইসলাম ফুঁসলিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।

এদিকে কয়েক দিন ধরে মেয়ের শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন চোখে পড়ে মা-বাবার। কয়েক দিন আগে ফুলপুর উপজেলার সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকের মাধ্যমে জানা যায়, মেয়েটি পাঁচ মাস সাত দিনের অন্তঃসত্ত্বা। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আকস্মিক খবরে হাসপাতালে মেয়েটির মা ও বাবা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

একপর্যায়ে ধর্ষক নজরুল ইসলামকে জানানো হলে তিনি হাসপাতালে গিয়ে গর্ভপাতের পরামর্শ দেন। এ কাজে রাজি না হওয়া স্থানীয়দের মাধ্যমে নজরুল অর্থের বিনিময়ে ঘটনা মীমাংসার প্রস্তাব দেন। তাতে ধর্ষিতার পরিবার রাজি হয়নি। এ সময় বিবাদী নজরুল ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি প্রদান করেন। একপর্যায়ে ফুলপুর থানায় গতকাল সোমবার (২৫ জুলাই) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন মা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এরই মধ্যে নজরুল মেয়টিকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে আত্মগোপনে থাকার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি ফুলপুর থানার পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পারলে মেয়েটিকে উদ্ধার করে গতকাল থানায় নিয়ে আসে। ফুলপুর থানার পুলিশের কাছে ঘটনার পুরো ঘটনা জানায় মেয়েটি।  

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ধর্ষকের কাছ থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হলেও সে পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

দিনবদলবিডি/এইচএআর

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়