বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস:প্রতিরক্ষা চুক্তির তাগিদ যুক্তরাষ্ট্রের!

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:৪৯, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১৬ ফাল্গুন ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

আর্থিক সামর্থ্যের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে উন্নত মানের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেতে চায় বাংলাদেশ। আর এটা পেতে হলে জিসোমিয়া চুক্তি বাঞ্ছনীয়। তবে কৌশলগত সব দিক বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ সময়মতো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ হবে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
 

 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যেখানে সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়’আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। একই সাথে চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের 'ইন্দো প্যাসিফিক কৌশল বা প্রতিরক্ষা ইস্যুতে বাংলাদেশকে পাশে চেয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফরে এসেছিলেন। সেখানেও প্রতিরক্ষা সহায়তার ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

আফরিন আক্তার বলেন, পতিরক্ষা খাতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে ১০০ মিলিনিয়নের বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর বাইরে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর কার্যক্রমকে আমরা সহায়তা দিয়ে আসছি।

এছাড়াও বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সামরিক মহড়া এবং সেনা বিনিময়ে অংশ নেয়। এসব সেনাদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণকেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেই। এমনকি মানবিক সহায়তা এবং দুর্যোগ মেকাবেলার মতো বিষয়েও আমরা একসাথে কাজ করছি। তাই ভবিষ্যতেও এই পারস্পারিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চাই আমরা। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে আমাদের জিসোমিয়া চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। চুক্তিটি সই হলে বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিষয়ক সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে যাবে বলে আমি আশাবাদী।

তিনি আরও বলেন, যে কোনো চুক্তি সই হওয়ার লক্ষ্য থাকে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহায়তা শক্তিশালী করা, যা বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই বেশ শক্তপোক্ত। এই খাতে পারস্পারিক সহায়তায় আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি বলেও জানান তিনি।

এদিকে আর্থিক সামর্থ্যের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে উন্নত মানের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেতে চায় বাংলাদেশ। আর এটা পেতে হলে জিসোমিয়া চুক্তি বাঞ্ছনীয়। তবে কৌশলগত সব দিক বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ সময়মতো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ হবে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

দিনবদলবিডি/Rakib

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়