আর পারতাছি না বাবা, বিছনা দেও ঘুমামু- ছোট্ট তাসলিমার আবেদন
দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
ছোট্ট তাসলিমার এমন আবেদনে বাবা হিসেবে বিদীর্ণ হওয়ার দশা আব্দুর রউফের হৃদয়।
রাজধানীর বনানীর গোডাউন বস্তিতে ঢোকার মুখে কর্দমাক্ত রাস্তা মাড়িয়ে দ্রুত পায়ে হেঁটে যেতে দেখা যায় আব্দুর রউফকে। পাশ দিয়ে যাবার পথেই কানে ভেসে আসে কোলে থাকা শিশুর করুন আবেদন, ‘বাবা বিছনা পাতি দেও, ঘুমামু!’
ছোট্ট তাসলিমার এমন আবেদনে বাবা হিসেবে বিদীর্ণ হওয়ার দশা আব্দুর রউফের হৃদয়। তাসলিমার ওই হৃদয় বিদীর্ণ করা কথার পরেই ঘুরে রউফকে অনুসরণ করি ক্ষণিক পথ।
দেখা যায়, চোখ মুছতে মুছতে রউফ দ্রুত পা স্থির করেন। যেন তার চোখ খুঁজছিল আশপাশে আগুন থেকে অক্ষত থাকা কোনো প্রতিবেশীর ঘর, যেখানে শিশু তাসলিমার ঘুমের বন্দোবস্ত করা যায়।
পেশায় ফেরি করে কসমেটিকস দোকানি আব্দুর রউফ বলেন, আগুনের সময় ঘরেই ছিলাম, দুই কন্যা বাইরে ছিল। আমি ঘরে থাকলে তাসলিমা দিনে ঘুমায় না। খেলে, হাসে আর কোলে উঠে। তাসলিমাকে নিয়ে বিছানায় শুয়েই ছিলাম, বাতাস বইছিল, একটু পর আগুন আগুন চিৎকার। তাসলিমাকে কোনো রকমে কোলে নিয়ে যখন ঘর থেকে বের হইছি ততোক্ষণে আগুন চলে আসছে পাশের ঘরে।
দিনবদলবিডি/Rony