ফুলবাড়ীতে সুপারির বাজারে ধস, হতাশ চাষিরা

নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:৩০, সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪, ১১ চৈত্র ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

কুরুষা ফেরুষা গ্রামের সুপারি চাষি ধীরেন্দ্র নাথ রায় ও পুলিন চন্দ্র রায় জানান, তারা দুজনেই ১ বিঘা জমিতে সুপারি চাষ করেছেন। ফলন ভালো হলেও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় দুজনেই হতাশা ব্যক্ত করেন। ইদের পর সুপারির দাম না বাড়লে শত শত চাষি ও ব্যবসায়ীর লোকসান গুনতে হবে।    

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সুপারির দাম কমে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন চাষিরা। চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলন হওয়ায় কমে গেছে দাম।


উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের অধিকাংশ কৃষক পতিত জমি ও বসতভিটার আঙিনায় সুপারির বাগান করেছেন। তাদের কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা সুপারি কিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠান। অনেকে আবার মাটির নিচে প্রক্রিয়াজাত রেখে দিয়ে অন্য মৌসুমে বেশি দামে বিক্রি করেন। কিন্তু এবার স্থানীয় বাজারে প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ায় হতাশ হচ্ছেন চাষিরা।

উপজেলার ফুলবাড়ী বাজার, বালারহাট, গংগাহাট, কাশিপুর, বেড়াকুটি, খরিবাড়ী, নেওয়াশী ও বড়ভিটা বাজারেরে চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর যে সুপারির পন ছিল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, এবার তা ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একটু বড় সাইজের সুপারির পণ ২৫০ টাকার বেশি দাম উঠছে না। ফলে অর্ধেক দামও পাচ্ছেন না কৃষকেরা। দাম না বাড়লে সুপারি চাষি ও বাগান কেনা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বড় লোকসান গুনতে হবে।


কুরুষা ফেরুষা গ্রামের সুপারি চাষি ধীরেন্দ্র নাথ রায় ও পুলিন চন্দ্র রায় জানান, তারা দুজনেই ১ বিঘা জমিতে সুপারি চাষ করেছেন। ফলন ভালো হলেও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় দুজনেই হতাশা ব্যক্ত করেন। ইদের পর সুপারির দাম না বাড়লে শত শত চাষি ও ব্যবসায়ীর লোকসান গুনতে হবে।    

বালারহাট এলাকার সুপারি ব্যবসায়ী ওবাইদুল হক বলেন, ছোট ছোট কয়েকটি সুপারির বাগান এ বছর প্রায় আড়াই লাখ টাকা দিয়ে কিনেছি। গত বছর এমন দিনে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা সুপারির পোন বিক্রি করেছি। বাইরে সুপারির চাহিদা না থাকায় বর্তমানে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় পোন বিক্রি হচ্ছে। দাম না বাড়লে এ বছর দেড় লাখ টাকা লোকসান গুনতে হবে।      

সুপারি আড়তদার শাহজালাল মিয়া জানান, রংপুর অঞ্চলে দেশি সুপারির ফলন বেশি হওয়ায় বাজারে ধস নেমেছে।  

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন বলেন, এ উপজেলায় ১১৫ হেক্টর জমিতে চাষিরা সুপারির চাষাবাদ করেছে। কৃষি বিভাগ অন্যান্য ফসল উৎপাদনে যেভাবে চাষিদের সহযোগিতা করা হয়, ঠিক একইভাবে সুপারি চাষিদেরও সহযোগিতা করা হয়। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমেও সুপারির ফলন ভালো হয়েছে। তবে দাম না থাকায় চাষিরা একটু দুঃচিন্তায় পড়েছে। যেহেতু বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে, বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসের দিকে দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দিনবদলবিডি/Nasim

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়